টুইটের স্রোত যেন বের হচ্ছে জ্যাক ডরসির কিবোর্ড থেকে, আর তার লক্ষ্য টুইটারের বোর্ড। টেসলা সিইও ইলন মাস্কের ৪৩ বিলিয়ন ডলারের ঝড়ো প্রস্তাবের পর কার্যত এই প্রথম এভাবে মুখ খুললেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
Published : 19 Apr 2022, 09:44 PM
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সময় গভীর রাতে একের পর এক টুইট করেন ডরসি।
এর আগে, গেল সপ্তাহেই মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের আলাপচারিতায় তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "ধারাবাহিকভাবে কর্মহীনতা ধরে রেখেছে টুইটারের বোর্ড।”
এক সময়ের সিইও ডরসি নিজেও আছেন টুইটারের ওই বোর্ডে।
এ নিয়ে সোমবারই একটি টুইটের জবাবে এক প্রশ্নের মুখে পড়েন ডরসি - “টুইটারের সিইও থাকাকালীন, তবে, এ নিয়ে কিছু করলেন না কেন?" জবাবে তিনি কেবল কথা বলার সীমাবদ্ধতার দিকে ইঙ্গিত করেন।
“অনেক কিছু বলার আছে... কিন্তু এমন কিছু আসলে বলা যাবে না” - টুইটে বলেন তিনি।
শেয়ার বাজারে দুই সপ্তাহের উল্লম্ফনের পরপরই ডরসির এই টুইট স্রোত শুরু হলো। তার ঠিক আগেই আসে সামাজিক মাধ্যমটিতে ইলন মাস্কের শতকরা ৯.২ ভাগ শেয়ারের মালিকানা কেনার খবর।
এর পরপরই গোটা কোম্পানিই কিনে ফেলার প্রস্তাব দেন মাস্ক। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার টুইটার বোর্ড "বিষের বড়ি"সম পদক্ষেপ নেয় যাতে করে মাস্কের মালিকানার অংশ বাড়ানোর ক্ষমতা সীমিত করা যায়।
সোমবারই আরেক টুইটে ডরসি বলেন, “আমি সত্যিই আশা করি যে সকল বাধা আমি ভেঙে ফেলতে পারতাম আর আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারতাম! কিন্তু হায় আর দুর্ভাগ্য!”
টুইটার অনুসারীদের সঙ্গে চিন্তাভাবনা শেয়ার করার এক আহ্বানে ওই টুইট করেন ডরসি।
এইসব ঘটনার মধ্যেই টেসলা সিইও মাস্ক টুইটারের কর্মকৌশল আর এর বোর্ডের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সোমবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, তার উদ্যোগ সফল হলে টুইটারের বোর্ড সদস্যদের বেতন হবে শূন্য ডলার, যার ফলে প্রতি বছর ৩০ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে।
এর মধ্যেই প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম থোমা ব্রাভো সহ অন্যান্য সম্ভাব্য ক্রেতারাও টুইটার কেনার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হয়েছে।
টুইটারের বোর্ডে থাকার পাশাপাশি ডরসি এখন স্কয়ারের সিইও হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। টুইটার বোর্ডে তার মেয়ার শেষ হবে আসছে মে মাসে।