ভার্জিল গ্রিফিথ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আগেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। ‘ইথেরিয়াম ফাউন্ডেশন’-এর সাবেক কর্মী গ্রিফিথ। ক্রিপ্টো মুদ্রা ইথারের পর্দার পেছনের প্রযুক্তি দেখভাল করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি।
সরকার পক্ষের আইনজীবিরা যে নূন্যতম শাস্তির দাবি করছিলেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই গ্রিফিথকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ ডলার জরিমানার শাস্তি হওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন ৩৯ বছর বয়সী গ্রিফিথ। সর্বোচ্চ শাস্তি না হলেও, পাঁচ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাকে।
গ্রিফিথের আইনজীবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রায়ে আশাভঙ্গ হলেও বিচারক “ভার্জিলের নিজের জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিকে আমলে নিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি একজন প্রতিভাবান মানুষ যার আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।”
এ প্রসঙ্গে নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের সরকারি কৌশলী ডেমিয়েন উইলিয়ামস এক বিবৃতিতে বলেন, “সুবিচার পাওয়া গেছে।”
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়াং-এ গিয়ে ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনোমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের অভিযোগ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন গ্রিফিথ।
সরকারপক্ষের আইনজীবিরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধ সত্বেও ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে চীন হয়ে উত্তর কোরিয়ায় পিয়ংইয়াংয়ের ‘ব্লকচেইন অ্যান্ড ক্রিপ্টোকারেন্সি কনফারেন্স’-এ অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন গ্রিফিথ।
আইনজীবিরা আরও অভিযোগ করেন, গ্রিফিথ জানতেন যে, তার দেওয়া তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে। পারমাণবিক অস্ত্রের নির্মাণ কাজ বন্ধ না করায় উত্তর কোরিয়ার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়েছিল ওয়াশিংটন।
সরকারপক্ষের আইনজীবিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রেজেন্টেশনে গ্রিফিথ বলেন, “ব্লকচেইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হচ্ছে এটি উন্মুক্ত, এবং যুক্তরাষ্ট্র বা জাতিসংঘ যাই বলুক না কেন, উত্তর কোরিয়াকে এর বাইরে রাখা সম্ভব নয়।”
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছিল, নিষেধাজ্ঞা অবমূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা “ঝুঁকিতে” ফেলেছিলেন গ্রিফিথ।
অন্যদিকে, গ্রিফিথ গ্রেপ্তার হওয়ার সময় ইথেরিয়াম ফাউন্ডেশন বলেছিল, তাকে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অনুমতি বা সমর্থন কোনোটাই দেয়নি তারা।