নতুন হাই-টেক পার্কের নির্মাণ শুরু কেরাণীগঞ্জে

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে নতুন হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণ শেষ হলে এখানে প্রায় ১৫ হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের আশা করছে সরকার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2022, 11:59 AM
Updated : 12 April 2022, 11:59 AM

প্রায় সোয়া তিন একর জমিতে এই পার্ক নির্মাণে প্রায় দুইশ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার এ পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এ কারণে যে, আজ কেরাণীগঞ্জে ‘আইটি/হাই-টেক পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে।”

“কেরাণীগঞ্জে হাই-টেক পার্ক স্থাপন সম্পন্ন হলে এই এলাকার ছেলেরা গতানুগতিক ব্যবসা-বাণিজ্যর বদলে অনলাইনে কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবে যা এই দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।”

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “দেশের তরুণরা যেন উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য আইটি/হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অফ ফিউচার, ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

“আগামীতে আমাদের মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিক্স, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

“বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে।”

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।