ইলন মাস্ক টুইটারের সবচেয়ে বড় অংশীদার হওয়ার পরপরই ‘এডিট বাটন’ প্রসঙ্গে পোল চালু করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান। মাস্ক টুইটারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোমবার।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, টুইটারের ৩৫ লাখ শেয়ার কেনার পর মাইক্রোব্লগিং সেবাটিতে মাস্কের সম্পদের বাজারমূল্য এখন প্রায় তিনশ’ কোটি ডলার।
প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে বড় অংশীদার হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরপরই মাস্ক টুইট করেছেন, “আপনারা কি একটা এডিট বাটন চান?”
মাস্ক টুইট করার পরপরই পাল্টা টুইট করেছেন প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল। মাস্কের পোলটির পরিণতি গুরুত্বপূর্ণ হবে উল্লেখ করে ব্যবহারকারীদের ‘সতর্কতার সঙ্গে ভোট’ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
১ এপ্রিলেই নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, বহুপ্রতিক্ষিত ‘এডিট’ ফিচার নিয়ে কাজ করছে তারা। ওই টুইটটি সত্যি ছিল, না কি রসিকতা করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, “আমরা এটি নিশ্চিত করতে পারছি না অথবা অস্বীকারও করতে পারছি না। কিন্তু আমরা আমাদের বিবৃতি পরে এডিটও করতে পারি।”
লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, প্রশ্নের উত্তরেও ‘এডিট’ শব্দটি ব্যবহার করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে রসিকতার ছলে আসন্ন ফিচারকে নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে মনে হতেই পারে।
টুইট ‘এডিট’ করার ফিচার নিয়ে বেশ বড় বিতর্ক রয়েছে প্ল্যাটফর্মটিতে। ব্যবহারকারীদের একটা অংশ এই ফিচারটি চান টুইটারে। তবে, অন্যদের আশঙ্কা এই ফিচারটি চালু হলে নিজের টুইট এডিট করে বিতর্ক ও শাস্তি এড়ানোর সুযোগ পাবে প্ল্যাটফর্মটিতে ভুয়া তথ্যের প্রচারকারীরা।
তাই এই সম্ভাব্য ফিচার নিয়ে টুইটারের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য, প্ল্যাটফর্মটিতে মাস্কের বৃহত্তম অংশীদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ও তার পরপরই বিতর্কিত ফিচার নিয়ে পোল এবং তাতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রতিক্রিয়া নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
আগরাওয়ালের রাজত্বে মাস্ক হঠাৎই অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ করছেন কি না, সেটি এখন কেবল সময়ই বলে দেবে।