এবার স্যাটেলাইট ‘দেখলো’ নাসার এসএলএস রকেট

লঞ্চপ্যাডে পৌঁঁছেছে নাসার নতুন ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এসএলএস রকেট। নতুন রকেটের লঞ্চপ্যাডে আসার ছবি তুলেছেন মহাকাশপ্রেমীদের অনেকে। কিন্তু, কেবল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে নয়, মহাকাশ থেকেও নজর ছিল এসএলএসের ওপর। নাসার নতুন মাইলফলকের ছবি তুলেছে কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2022, 10:37 AM
Updated : 23 March 2022, 10:37 AM

নাসার আর্টেমিস প্রকল্পের অংশ হিসেবে নিজ কার্যক্ষমতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে লঞ্চপ্যাডে পৌঁছেছে এসএলএস। আর লঞ্চপ্যাডে এসএলএসের ছবি তুলেছে ইউরোপীয় মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারবাস’-এর ‘প্লিডিস নিও স্যাটেলাইট’।

এসএলএস রকেট লঞ্চপ্যাডে নেওয়ার সময় নাসার মধ্যে চরম রোমাঞ্চ বিরাজ করছিল বলে জানিয়েছে এমএসএন ডটকম। এসএলএসের ওপরের অংশে বসানো হয়েছে নাসার ‘ওরিয়ন’ মহাকাশযান। রকেটটি ফ্লোরিডার ‘কেনেডি স্পেস সেন্টার (কেএসসি)’-এর লঞ্চপ্যাডে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল ১৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার। লঞ্চপ্যাডে নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে ১৮ মার্চ, শুক্রবার সকালে।

পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ নাসার এই কর্মযজ্ঞ দেখেছেন লাইভস্ট্রিমে। পাশাপাশি, মহাকাশ থেকেও এ কর্মযজ্ঞের উপর নজর রাখছিল ‘এয়ারবাস’-এর ‘প্লিডিস নিও স্যাটেলাইট’। মহাকাশ থেকে এসএলএস রকেটের হাই-রেজুলিউশন ছবিও তুলেছে স্যাটেলাইটটি।

এয়ারবাস নিয়ন্ত্রিত স্যাটেলাইটটি ‘কেএসসি’র ছবি তুলেছে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৬২০ কিলোমিটার উপর থেকে।  ফ্লোরিডা উপকূলের বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে কেএসসি ক্যম্পাস।

এ ছাড়াও মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে আছে কেএসসির ‘ভেহিকল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং (ভিএবি)’। এই ভিএবি-তেই এসএলএসের ওপরে বসানো হয়েছে ওরিয়ন মহাকাযান। লঞ্চপ্যাডের উদ্দেশ্যে এসএলএসের যাত্রাও শুুরু হয়েছিল এই ভবনটি থেকেই। 

ছবি: nasa-sls-launchpad-nasa-190322-01

জুম করে কেএসসি লঞ্চপ্যাড ৩৯বি’র ছবিও তুলেছে ‘প্লিডিস নিও’। ছবিগুলো দেখানোর সময় এয়ারবাস যে ওরিয়নের যন্ত্রাংশ নির্মাণ করেছিল, সেদিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র।

নাসার মোবাইল লঞ্চারের পাশে এসএলএস আর ওরিয়ন মিলে পুরো মহাকশযানটির উচ্চতা ৩২২ ফুট বা ৯৮ মিটার। মোবাইল লঞ্চারটি কেএসসির লঞ্চপ্যাডে আনা হয়েছে নাসার ‘ক্রলার-ট্রান্সপোর্টার ২’ যানের ওপর বসিয়ে। কয়েক লাখ কেজি ওজনের যন্ত্রাংশ বহনে সক্ষম এ যানটি। কিন্তু, এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১.৩ কিলোমিটার।     

আর্টেমিস প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন রকেট চাঁদে পাঠানোর আগে কার্যক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে দেখতেই লঞ্চপ্যাডে নেওয়া হয়েছে এসএলএস এবং ওরিয়ন যানকে। ধারণা করা হচ্ছে, মে মাস নাগাদ পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাবেন নাসার গবেষকরা। 

১৯৭২ সালের পর চাঁদের বুকে পা রাখেননি কোনো মানুষ। আর্টেমিস প্রকল্পের মাধ্যমে নভোচারীদের আবার চাঁদে নিয়ে যেতে চায় নাসা। 

আর্টেমিস ১ প্রকল্পের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসেবে পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে দুই লাখ ৮০ হাজার মাইল বা চার লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরবে মহাকাশযানটি। এ সময় কোনো মানব ক্রু থাকবে না মহাকাশযানে। চাঁদ পার হয়ে আরও কয়েক হাজার দূর থেকে ঘুরে আসবে মহাকাশযানটি।