এ বিষয়ে শুক্রবার দায়ের করা মামলাকে ‘ক্লাস অ্যাকশন’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার আবেদন করেছেন বাদী। কারণ, গুগল সবসময় একটি "জাতিগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট কর্পোরেট সংস্কৃতি" বজায় রাখে যেটি শ্বেতাঙ্গ পুরুষবান্ধব।
গুগলের কর্মীদের মধ্যে শতকরা কেবল চার দশমিক চার জন কৃষ্ণাঙ্গ। নেতৃত্ব দেওয়া এবং কারিগরি কাজে এই হার আরও কম, শতকরা মাত্র তিন জন।
মামলার বাদী এপ্রিল কার্লি এই বৈষম্যের অন্যতম শিকার বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। বাদী বলছেন, গুগল একটি প্রতিকূল কাজের পরিবেশে ঠেলে দেয় কৃষ্ণাঙ্গদের। প্রায়ই তাদের পরিচয় যাচাইয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয় এবং মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া ক্যাম্পাসে তারা নিরাপত্তা কর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত জেরার মুখে পড়েন।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এই মামলার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে গুগল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংস্থা ‘ফেয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড হাউজিং ডিপার্টমেন্ট’ কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মীদের সঙ্গে গুগলের আচরণ এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের ওপর সম্ভাব্য বৈষম্যের তদন্ত শুরু করার পরপরই এই মামলা আদালতে উঠল বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স।
কার্লি বলেন, ২০১৪ সালে গুগল তাকে ঐতিহ্যগতভাবে কৃষ্ণাঙ্গপ্রধান কলেজগুলোর জন্য একটি ‘আউটরিচ প্রোগ্রাম’ নকশা করার জন্য নিয়োগ দেয়।
তিনি এখন বলছেন, তার ওই নিয়োগ ছিল গুগলের স্রেফ একটি “বিপণন কৌশল”। কিছুদিনের মধ্যেই সুপারভাইজাররা তার কাজকে অবজ্ঞা করতে শুরু করে, তাকে “মাথা গরম কৃষ্ণাঙ্গ নারী” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করতে শুরু করে এবং পদোন্নতির বেলায় তার বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
কার্লি বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি এবং তার সহকর্মীরা কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের একটি তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করার পরপরই গুগল তাকে বরখাস্ত করে।
“যদিও গুগলের দাবি তারা বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু তারা আসলে কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের অবমূল্যায়ন, বেতন কম দেওয়া এবং দুর্ব্যবহার করছিল” – কার্লির আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেন।
নাগরিক অধিকার আইনজীবী ক্রাম্প এর আগে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের বর্বরতায় নিহত জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী ছিলেন।
মামলায় কার্লি নিজের ওপর শাস্তিমূলক ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ এবং গুগলের সাবেক কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের জন্য হারানো ক্ষতিপূরণ এবং তাদের যথাযথ অবস্থান এবং জ্যেষ্ঠতা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছেন।