ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর প্রায় ২৫ লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট। এতে মানবিক সহায়তার এমন সব গল্প বেরিয়ে আসছে যা সম্ভবত আগে ভাবেননি কেউ।
Published : 13 Mar 2022, 10:00 PM
ইউক্রেইনের কিছু শরণার্থী নতুন আশ্রয় খুঁজতে রোমানিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, যেখানে সাহায্যের আশা খুব একটা করেন না কেউ। আনাস্তাসিয়া টিসচেনকো নামে এমন একজনের গল্প উঠে এলো নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।
টিসচেনকো এবং তার বন্ধু নাতালিয়া মাসেচকো তাদের মর্মান্তিক ঘটনা ডেটিং-অ্যাপ ‘টিন্ডার’-এ পোস্ট করেছেন, যেখানে বলেছেন কীভাবে তারা ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক থেকে পালিয়ে এসেছেন। এটি পশ্চিম ইউক্রেইনের একটি শহর যেটির অবস্থান লভিভ শহরের দক্ষিণে। সেখানে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের বসবাস।
“আমি ভেবেছি পৃথিবীতে অসংখ্য সৎ মানুষ আছেন এবং তাদের কেউ কেউ হয়তো টিন্ডারেও থাকবেন।” টাইমসকে বলেছেন টিসচেনকো।
তার অনুমান ভুল হয়নি। তার টিন্ডার প্রোফাইলে বেশ কয়েকজন ডানে সোয়াইপ করে তাকে সাহায্য করতে চেয়েছেন। এদের মধ্যে এক ব্যক্তি টিসচেনকো ও মাসেচকোকে তার বন্ধুর, বন্ধুর, বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে রোমানিয়ার শহর সিরেট, যেটি ইউক্রেইনের দক্ষিণ সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত, সেখানে একটি আশ্রমে রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
“এটি খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক” বলেছেন টিসচেনকো। সিরেট-এ থাকার পর টিসচেনকো পোল্যান্ডে চলে যান এবং তার বন্ধু মাসেচকো নতুন শরণার্থীদের সাহায্য করতে রোমানিয়াতেই থেকে গেছেন।
আগ্রাসনের মতোই, শরণার্থী সঙ্কটের মাত্রা গত কয়েকদিনে সংবেদনশীল পর্যায়ে চলে গিয়েছে।
পোল্যান্ডের সবচেয়ে বড় দুটি শহর ওয়ারশ এবং ক্রাকো’র কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, সামরিক আগ্রাসন বাড়ার ফলে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
“পরিস্থিতি দিনের পর দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”- বলছেন ওয়ারশ’র মেয়র রাফাল ত্রজাস্কোস্কি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার সতর্ক বার্তা দিয়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইন ছেড়ে পালিয়ে যেতে হতে পারে।