এবার রাশিয়ার বার্তাসংস্থার বিজ্ঞাপন আয় বন্ধ করলো গুগল

রাশিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থাগুলোর বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে সার্চ জায়ার্ট গুগল। নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কার্যত ইউটিউব ও মেটা’র দেখানো পথেই হাঁটলো প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2022, 04:01 PM
Updated : 28 Feb 2022, 04:01 PM

“ইউক্রেইনে চলমান যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় আমরা গুগলের সব প্ল্যাটফর্মে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের কনটেন্ট থেকে আয়ের প্রক্রিয়া স্থগিত করছি,”  রোববার সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে গুগল।

“আমরা পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির উপর সক্রিয়ভাবে নজর রাখছি এবং প্রয়োজনে আরো পদক্ষেপ নেব।”

গুগলের সাম্প্রতিক ঘোষণাকে রাশিয়ার সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য নতুন আঘাত বলে আখ্যা দিয়েছে সিএনএন। গেল সপ্তাহের পুরোটা জুড়েই রাশিয়ার সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যমগুলোর বিজ্ঞাপনী আয়ের প্রক্রিয়া সচল রাখায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে ‘বিগ টেক’ নামে পরিচিত শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। 

শনিবারেই আলাদা এক বিবৃতিতে রাশিয়ার চ্যানেলের বিজ্ঞাপনী কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। ইউটিউবের এই পদক্ষেপে বিজ্ঞাপনী আয় থেকে বঞ্চিত হবে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘আরটি’সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেল।

এ ছাড়াও রাশিয়ার কনটেন্ট সাধারণ দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের হারও কমিয়ে আনার কথা বলেছে ইউটিউব।

গুগল ও ইউটিউবের আগে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের কনটেন্টে বিজ্ঞাপন প্রচার এবং আয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোর পোস্টে লেবেল জুড়ে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষ। 

শুক্রবারেই ফেইসবুকের ‘আংশিক’ সেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে “বেআইনি সেন্সরশিপ”-এর অভিযোগ করেছে দেশটির নীতিনির্ধারকরা। রাশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দাবি, ফেইসবুক “রাশিয়ার নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে।”

রাশিয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার মেটার বৈশ্বিক গণযোগাযোগ বিভাগের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেইগ জানান, রাশিয়া চারটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য-উপাত্ত “স্বাধীনভাবে যাচাই করা বন্ধ করতে বলেছিল” তার প্রতিষ্ঠানকে।

“আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি,” বিবৃতিতে বলেন ক্লেইগ।

“রাশিয়ান নাগরিকরা আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন এবং প্রতিবাদের জন্য সংগঠিত হচ্ছেন।” রাশিয়ার নাগরিকদের এই তৎপরতা বজায় থাকুক, তার প্রতিষ্ঠান এমনটাই চায় বলে জানিয়েছেন ক্লেইগ।