অনুদানের ডলার ইউক্রেইনে যাচ্ছে বিটকয়েন আকারে

ক্রিপ্টো মুদ্রা বিশ্লেষকদের মতে এখন পর্যন্ত অন্তত এক কোটি ৩৭ লাখ ডলার বেনামী বিটকয়েন অনুদানের মাধ্যমে গিয়েছে ইউক্রেইনের যুদ্ধ সহায়তায়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2022, 11:53 AM
Updated : 27 Feb 2022, 12:29 PM

ব্লকচেইন বিশ্লেষণ সংস্থা এলিপটিকের গবেষকরা বলছেন, ইউক্রেইনীয় সরকার, এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বিজ্ঞাপন আকারে তাদের বিটকয়েন ওয়ালেটের ঠিকানা অনলাইনে প্রকাশ করে অর্থ সংগ্রহ করছে।

এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি অনুদান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নাম প্রকাশ না করেই এক দাতা একটি এনজিওকে ৩০ লাখ ডলার মূল্যের বিটকয়েন পাঠিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

হিসেবে দেখা গেছে দাতা প্রতি গড় অনুদান ছিল ৯৫ ডলার বা আট হাজার একশ’ টাকা।

শনিবার বিকেলে ইউক্রেইন সরকারের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়, 'ইউক্রেইনের জনগণের পাশে দাঁড়ান। এখন ক্রিপ্টো মুদ্রা দান গ্রহণ চলছে। বিটকয়েন, ইথেরিয়াম এবং ইউএসডিটি।’

ওই টুইটে দুটি ক্রিপ্টো মুদ্রা ওয়ালেটের ঠিকানা রয়েছে। ওই টুইটের আট ঘণ্টার মধ্যে বিটকয়েন, ইথার এবং অন্যান্য কয়েন আকারে ৫৪ লাখ ডলার জমা পড়ে।

ইউক্রেইনীয় ডিজিটাল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে অনুদানের আকারে পাওয়া এই অর্থ “ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করবে”। তবে অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হবে সে বিস্তারিত বলেনি মন্ত্রণালয়।

এলিপটিক প্রতিষ্ঠাতা টম রবিনসন বিবিসিকে বলেন, “কিছু ক্রাউডফান্ডিং এবং অনলাইন লেনদেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইউক্রেইনীয় সামরিক বাহিনী সমর্থক সংগঠনে অনুদান পৌঁছে দিতে অস্বীকার করলেও ক্রিপ্টো মুদ্রা এক্ষেত্রে হাজির হয়েছে শক্তিশালী বিকল্প হিসাবে।

শুক্রবার, তহবিল সংগ্রহের প্ল্যাটফর্ম প্যাট্রিওন জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি “কাম ব্যাক অ্যালাইভ” অনুদান পেইজটি স্থগিত করে দিয়েছে। ইউক্রেইনীয় এই এনজিওটি ২০১৪ সাল থেকে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে।

প্যাট্রিওন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, প্রতিষ্ঠানটি তার প্ল্যাটফর্মকে সামরিক কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না। ফলে ওই অ্যাকাউন্ট প্যাট্রিওনের “নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে”।

ক্রিপ্টো মুদ্রা আকারে অনুদান সংগ্রহ বিশ্বজুড়েই ক্রমশ একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে উঠছে।

ইউক্রেইনের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে সাইবার প্রতারকরাও।

এনজিও’র পোস্ট আকারে শেয়ার করা কোনো কোনো পোস্টে সঠিক বার্তা থাকলেও ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মালিকানা দেখা গেছে কোনো ব্যক্তির - প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।