টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পাশাপাশি তিনি ‘টুটটিার প্যারেন্টস’-এরও নির্বাহী প্রধান। পরের নামটি টুইটার কর্মীদের মধ্যে যারা সন্তানের মা-বাবা, তাদের সংগঠন বলে জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।
টুইটার কর্মীরা তার এই সুসংবাদকে স্বাগত জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে দৈনিকটি।
“যে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উদাহরণ তৈরি করে নেতৃত্ব দেন এবং পিতৃত্বকালীন ছুটি নেন, সেখানে কাজ করার বিষয়টি সত্যিই চমৎকার– এক টুইটে বলেছে টুইটার প্যারেন্টস।
মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করা ৩৭ বছর বয়সী পরাগ স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পিএইচডি এবং আইআইটি-বোম্বে থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
টুইটার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দেওয়ার পরে অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দার পিচাই এবং মাইক্রোসফট সিইও সাত্যিয়া নাদেলার কাতারে উঠে আসেন পারাগ, যারা ভারতীয় বংশোদ্ভুত এবং প্রথম সারির মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এদের পাশাপাশি শান্তনু নারায়ন অ্যাডোবির সিইও, আরভিন্দ কৃষ্ণা আইবিএম-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং নিকেশ অরোরা ‘পলো অল্টো নেটওয়ার্কে’র সিইও এবং চেয়ারম্যান।
আগ্রাওয়ালের সিইও হওয়ার বিষয়টি ভারতের প্রযুক্তি মহলে ব্যাপক উচ্ছাস তৈরি করেছিল। আলোচনার বিষয় ছিল, আরও একজন ভারতীয় বিশ্বমানের প্রযডিক্ত প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে এসেছেন।
প্রায় এক দশক আগে যখন পারাগ টুইটারে যোগ দেন, তখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী সংখ্যা এক হাজারের কম ছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে অনুসারে, আগ্রাওয়াল বার্ষিক এক মিলিয়ন ডলার বেতনের পাশাপাশি বোনাস, সীমিত স্টক ইউনিট এবং কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক স্টক ইউনিট পাবেন।