ফেইশল রিকগনিশন: মেটার বিরুদ্ধে মামলায় টেক্সাস

অভিযোগ, ফেইসবুক অবৈধভাবে এক দশক ধরে লাখ লাখ টেক্সাস বাসিন্দার ফেইশল রিকগনিশন ডেটা সংগ্রহ করেছে। আর এর প্রতিকার চেয়ে মার্কিন অঙ্গরাজ্যটি দ্বারস্থ হয়েছে আদালতের।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2022, 12:18 PM
Updated : 15 Feb 2022, 12:18 PM

টেক্সাসের হ্যারিসন কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে সোমবার দায়ের করা মামলায় উল্লেখ রয়েছে, ফেইসবুকের ফেইসবুক ফটো-ট্যাগিং ফিচারটি ফেইশল রিকগনিশন ডেটা সংগ্রহ করার আগে টেক্সাসের বাসিন্দাদের বিষয়টি জানিয়ে তাদের সম্মতি নেয়নি। ফেইসবুক এই পদ্ধতিতে এমনকি যারা ফেইসবুক ব্যবহারকারী নন, ছবিতে তাদের চেহারাও বিশ্লেষণ করেছে এবং ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন  ব্যক্তিকে ট্যাগ করার সুপারিশ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনএন।

ফেইসবুকের ট্যাগ সুপারিশ করার ফিচারটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ফেইশল রিকগনিশন বিষয়ে একটি ক্লাস-অ্যাকশন মামলা ৬৫ কোটি ডলারে নিষ্পত্তি করার কয়েক মাস পর ২০২১ সালের নভেম্বরে ফেইসবুক জানায় যে তারা ফিচারটি বন্ধ করে দেবে। এ পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা প্রায় ৬০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্যও মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি সে সময়ে দেয় ফেইসবুক।

টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের সোমবার দয়ের করা মামলা অনুযায়ী, ফেইসবুক ইতিমধ্যে রাজ্যের ভোক্তা সুরক্ষা এবং বায়োমেট্রিক ডেটা গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করে কোটি কোটি বার বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। টেক্সাসের ২০০৯ সালে ‘ক্যাপচার অর ইউজ অফ বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফায়ারের (কিউবিআই) আইন নামে বায়োমেট্রিক ডেটা আইন পাস করে টেক্সাস।

মামলার জবাবে মেটার একজন মুখপাত্র মামলার দাবিকে “ভিত্তিহীন” বলে নিজেদেরকে “জোরালোভাবে রক্ষা” করার কথা বলেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ফেইসবুক ‘গোপনে লাখ লাখ টেক্সাসবাসীকে তাদের জ্ঞাত সম্মতি ছাড়াই ফেইশল রিকগনিশন স্কিমে বাধ্য করেছে। এর ফলে, পরবর্তী ১০ বছরে ফেইসবুকে আপলোড করা ছবি থেকে টেক্সাসের লাখ লাখ অধিবাসীর মুখের জ্যামিতির রেকর্ড ফেইসবুক ক্যাপচার করেছে।

এই ফিচারের আওতায় ফেইসবুক ব্যবহারকারী নন এমন ব্যক্তিদেরও চেহারাও বিভিন্ন ছবি থেকে ফেইসবুক শনাক্ত করেছে এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করেছে। ফলে মামলার অভিযোগ উঠেছে, ফেইসবুক টেক্সাসের আইনের অধীনে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।

যদিও ফেইসবুক ফেইশল রিকগনিশন প্রোগ্রাম স্থগিত করেছে, তবে মামলার আর্জি বলছে, মেটা’র অধীন “ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেইসবুক রিয়েলিটি ল্যাবস বা তার আসন্ন ভার্চুয়াল-রিয়েলিটি মেটাভার্সের মতো অন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম বা ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

মামলায় আদালতের কাছে রাজ্যের বায়োমেট্রিক আইন লঙ্ঘনের জন্য মেটাকে প্রতিটি লঙ্ঘনের জন্য ২৫ হাজার ডলার এবং টেক্সাসের ভোক্তা সুরক্ষা আইন প্রতিবার লঙ্ঘনের  জন্য ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্যাক্সটন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি শতশত কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাইছেন।