ক্রিপ্টো প্রতারণার কৌশল এখন প্রেমের ফাঁদ

ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন যতো বাড়ছে, ততো যেন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে ক্রিপ্টো প্রযুক্তি। গেল বছরেই ভুক্তভোগীদের শুধু প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রায় ১৪ কোটি ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2022, 10:05 AM
Updated : 15 Feb 2022, 10:05 AM

২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়া ক্রিপ্টো মুদ্রার পরিমাণ পাঁচ গুণ বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেলে ট্রেড কমিশন (এফটিসি)’। গেল বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ সম্পদের সবচেয়ে বড় অংশটির লেনদেন হয়েছে ক্রিপ্টো মুদ্রার মাধ্যমে। গড়ে নয় হাজার ৭৭০ ডলারের ক্রিপ্টো মুদ্রা খুইয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

প্রতারকদের একটা বড় অংশ নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন ‘আর্থিক বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে। ভুক্তভোগীদের অর্থ ক্রিপ্টো মুদ্রা খাতে বিনিয়োগ করে বড় মুনাফার প্রলোভন দেখিয়েছে প্রতারকরা।

প্রতারকরা প্রায়শই ইন্টারনেট থেকে নেওয়া ছবি ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া প্রোফাইল খুলে ভুক্তভোগীকে বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বলে জানিয়েছ এফটিসি। ক্ষেত্রবিশেষে আর্থিক সঙ্কটের কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে বসেন ওই প্রতারকরা। কখনো বা ভুক্তভোগীদের অর্থ ক্রিপ্টো মুদ্রার বাজার অথবা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে বড় মুনাফার লোভ দেখানো হয় বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

প্রতারণা থেকে বাঁচতে কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে এফটিসি। অনলাইনে পরিচয় হয়েছে এমন কেউ গিফট কার্ড, ক্রিপ্টো মুদ্রা, অনলাইনে বা ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ মুদ্রা চেয়ে বসলে সেটি প্রত্যাখানের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। আর ইন্টারনেটে কাউকে সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তির প্রোফাইল পিকচার গুগলের ‘ইমেজ সার্চ’ সেবার মাধ্যমে যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশে ওয়ার ট্র্যান্সফার বা ক্রিপ্টো মুদ্রার মাধ্যমে লনদেনের প্রচলন না থাকলেও, প্রায় একই কৌশলে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটে হরহামেশাই। এ ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটে পরিচয় হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেনে না যাওয়াই ভালো। আর কারো পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হলে গুগলের ‘ইমেজ সার্চ’ সেবার মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করার চেষ্টা করা যেতে পারে।