মানমন্দিরের তোলা ছবিতে ‘সমস্যা’ স্পেসএক্স-এর উপগ্রহ

মহাকাশ বিষয়ক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহের কারণে ছবি তুলতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সমস্যায় পড়ছেন বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2022, 03:45 PM
Updated : 7 Feb 2022, 06:26 PM

সাম্প্রতিক সময়ে স্পেসএক্স-এর তৈরি উপগ্রহ থেকে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মির কারণে মানমন্দিরের গবেষকদের তোলা ছবি নষ্ট হওয়ার সংখ্যা ‘ব্যাপক আকারে বেড়েছে’ বলে উঠে এসেছে অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে।

গবেষণা অনুসারে, স্পেসএক্স গত মাসে ১৫০ টি স্টারলিংক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে, যেগুলো যোগ হয়েছে এরই মধ্যে উৎক্ষেপণ করা কৃত্রিম উপগ্রহের সংগে।

ব্যক্তিমালিকানাধীন এই মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি মোট ১২ হাজার উপগ্রহ উৎক্ষেপণ ও পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের কাছ থেকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গোধূলির সময় ‘স্ভিকি ট্রনিশিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি’ মানমন্দির থেকে তোলা ছবিতে এইসব ছোট ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রতিফলিত সূর্যের আলো ছিটকে ছবি নষ্ট হওয়ার ঘটনা বেড়েছে ৩৫ গুণ। ২০১৯ সালের শেষের দিকে ছবি নষ্ট হওয়ার হার শতকরা ০.৫ থেকে ২০২১ সালে এসে হয়েছে ১৮ শতাংশ।

“আমরা দেখতে পাচ্ছি, যতোই স্পেসএক্স আরও উপগ্রহ পাঠাচ্ছে ততোই ছবিতে আলো ছিটকে এসে ছবি নষ্ট হওয়ার হার বাড়ছে।” গবেষকরা লিখেছেন নিবন্ধে।

“আমাদের অনুমান, স্টারলিংক উপগ্রহের সংখ্যা ১০ হাজারে পৌঁছে গেলে গোধূলির সময় তোলা সব ছবিই এই সমস্যায় আক্রান্ত হবে।”

নাসার এক মুখপাত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, “ভূপৃষ্ঠের মানমন্দির থেকে ছবি তোলার বেলায় এই ছোট ছোট কৃত্রিম উপগ্রহগুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বস্তুর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে।”

স্পেসএক্স এবং নাসা এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি। তবে, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী এরিক বেলম বলেন, আলোর এই প্রতিফলন গবেষণার কাজে ছবির মান নষ্ট করার কথা নয়। তবে, সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু শনাক্ত করার বিষয়কে এটি জটিল করে তুলতে পারে।

এরইমধ্যে স্পেসএক্স বৃহস্পতিবার ফ্যালকন ৯ রকেটের সাহায্যে কক্ষপথে নতুন ৪৯টি স্টারলিংক উপগ্রহ পাঠিয়েছে।