হলোকাস্ট অস্বীকার ঠেকাতে তৎপরতা বাড়িয়েছে টিকটক

নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদি হত্যাযজ্ঞ বা হলোকাস্ট অস্বীকারকারীদের মোকাবেলায় নতুন ফিচার চালু করেছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টিকটক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2022, 10:36 AM
Updated : 28 Jan 2022, 10:36 AM

হলোকাস্ট অস্বীকারকারীদের মোকাবেলায় ইউনেস্কো এবং ‘ওয়ার্ল্ড জিউইশ কংগ্রেস (ডব্লিউজেসি)’র সঙ্গে জোট বেঁধেছে ক্ষুদ্র ভিডিও তৈরি ও শেয়ারের প্ল্যাটফর্মটি। ব্যবহারকারীদের কেউ এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খুঁজলেই তাদের নিয়ে যাওয়া হবে সঠিক তথ্যসূত্রের কাছে।

ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিতে হলোকাস্ট প্রসঙ্গে যতো কনটেন্ট রয়েছে তার অন্তত ১৭ ভাগ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে পুরোপুরি অস্বীকার করে অথবা ওই ঘটনাগুলোর ভুল ও মিথ্যা ব্যাখ্যা দেয়।

কিন্তু, এমন “বিদ্বেষপূর্ণ” কনটেন্ট মোকাবেলায় সর্বশক্তি প্রয়োগের কথা বলছে টিকটক।

হলোকাস্ট স্মরণ দিবসে নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। হলোকাস্টের সঙ্গে জড়িত কোনো বিষয় নিয়ে ব্যবহারকারী সার্চ করলে রেজাল্ট পেইজের উপরেই নতুন একটি ব্যানার দেখা যাবে। ব্যবহারকারীকে ডব্লিউজেসি বা ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে ওই ব্যানারটি।

এ ছাড়াও, #HolocaustSurvivor অথবা #HolocaustRemembrance লিখে সার্চ করলেও আগ্রহী ব্যক্তিদের ওই ওয়েবসাইট দুটির দিকে পাঠিয়ে দেবে টিকটকের অ্যালগরিদম।

ভবিষ্যতে হলোকাস্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিওগুলোর নিচে একটি স্থায়ী ব্যানার যোগ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে টিকটক। ব্যবহারকারীদের প্রমাণিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রের কাছে নিয়ে যাবে ওই ব্যানারটিও।

“ঘৃণা-বিদ্বেষ নিরসনে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে বিশ্বাস করি আমরা।”-- মন্তব্য টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস পরিচালক এলিজাবেথ ক্যান্টনারের।

“বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ টিকটকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা আমারে প্ল্যাটফর্ম বিদ্বেষমুক্ত রাখতে সর্বশক্তি খাটাবো, একইসঙ্গে টিকটকের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আমাদের ব্যবহারকারীদের শেখানোর চেষ্টাও করবো।”-- যোগ করেন তিনি।

মহামারী শুরুর পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমভিত্তিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে হলোকাস্ট ও ইহুদি বিরোধী ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের দৌরাত্ম ও মিথ্যাচার লক্ষ্যণীয় হারে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এক ইউনেস্কো মুখপাত্র।

মিথ্যাচার ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের প্রচার বন্ধে সামাজিক মাধ্যম ও ভিডিও প্ল্যাটফর্মগুলোর আরো তৎপর হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি তুলেছেন সমালোচক ও সংশ্লিষ্টরা।

গেল বছরের অগাস্ট মাসেই শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ ইহুদি বিরোধী কনটেন্ট মুছতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছিল ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট্রেড’। ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, টুইটার এই ইউটিউব সংস্থাটির গবেষণার অন্তুর্ভূক্ত ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।