বিজ্ঞাপন বিভাগের দীর্ঘদিনের কর্মী শিবকুমার ভেঙ্কটরামন ব্লকচেইন গ্রুপের প্রধান বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। গুগল ল্যাবসে কোনো প্রকল্প শুরুর মানে হচ্ছে এটি সম্ভবত “উচ্চ-সম্ভাবনাসম্পন্ন এবং দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রকল্প” হতে যাচ্ছে, যেমনটা আগে ছিল গুগল এক্স বিভাগ - মন্তব্য এসেছে প্রতিবেদনে।
গুগল বাণিজ্যিক বিভাগের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। “ক্রিপ্টো এমন একটি বিষয় যেটায় আমরা যথেষ্ট মনোযোগ দেই।” - বলেছেন তিনি।
ব্লকচেইন এখন হালের জনপ্রিয় কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক যেমন ছিল ‘অ্যালগরিদম’, ‘এআই’ বা ‘৫জি’ - মন্তব্য উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্সটেকনিকার নিবন্ধে। আর এই শব্দ বা শব্দগুচ্ছ প্রযুক্তি নির্বাহীরা বেশি ব্যবহার করছেন বিনিয়োগকারী বা ভোক্তাদের চমক দেখানোর জন্য, যাদের আসলে এই বিষয়গুলোর ওপর যথেষ্ট দখল নেই।
ব্লকচেইন আসলে একটি বিকেন্দ্রিক পিটুপি ডেটাবেসের চেয়ে বেশি কিছু নয়। যেমনটা বিটটরেন্ট পাইরেটেড সিনেমার জন্য এবং লিনাক্স আইএসও ডেটাবেস হোস্ট করে। এই ডেটাবেস অনেক ব্লকে ভাগ হয়ে থাকে এবং প্রতিটি নতুন ব্লক তার আগের ব্লকের একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাশ ধারণ করে। এর ফলে রেকর্ডের একটি শেকল তৈরি হয় যেটিতে ব্লকগুলো একে অপরকে রক্ষা করে।
প্রচলিত ডেটাবেসে লেনদেনগুলি ডেটাবেস মালিক যাচাই করতে পারেন। তবে ব্লকচেইনে যেহেতু কেউ ডেটাবেসের মালিক নয়, তাই প্রতিটি লেনদেন অনেক কম্পিউটার দ্বারা যাচাই করা দরকার। এবং এটিই হচ্ছে ব্লকচেইনের দুর্বল দিক। প্রত্যেকটি লেনদেন যাচাই করতে প্রচুর বিদ্যুৎ এবং কম্পিউটিং শক্তি খরচ হয়।
নতুন তৈরি হওয়া গ্রুপটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য মেলেনি। তবে এটি “ব্লকচেইন এবং অন্যান্য পরবর্তী-জেন বিতরণ কম্পিউটিং এবং ডেটা স্টোরেজ প্রযুক্তির” উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। গুগলের মতো একটি ওয়েব জায়ান্টের বিকেন্দ্রিভূত কম্পিউটিং এবং ডেটাবেস উন্নয়নে প্রথম সারিতে তুলে এনেছে। ফলে এটি ব্লচেইনেও ভূমিকা রাখতে পারে।