সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রসকসমোস জানিয়েছে, মস্কোর ‘ক্রুনিশেভ স্টেট স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন সেন্টার’-এর কারখানায় নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে রকেটগুলোর। শেষ হলে মহাকাশ যাত্রার উপযোগী বিদ্যমান ১০ রকেটের বহরে যোগ হবে নতুন চারটি ‘প্রোটন-এম’ রকেট।
আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধেই রকেটগুলোকে মহাকাশ মিশনে পাঠানোর কথা জানিয়েছে রাশিয়া কর্তৃপক্ষ। রাশিয়া নিজের প্রথম প্রোটন রকেটটি মহাকাশে পাঠিয়েছিল ৫৭ বছর আগে, ১৯৬৫ সালে। সে সময় মহাকাশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকা জানিয়েছে, ছয় দশকে প্রোটন রকেটের বিভিন্ন সংস্করণ মোট ৪২৬ বার মহাকাশে পাঠিয়েছে রাশিয়া, এর মধ্যে রকেটগুলোর ব্যর্থতার হার ছিল শতকরা ১০ শতাংশ।
‘স্যালুট ৬, স্যালুট ৭, মির এবং ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বা আইএসএস–এই চারটি স্পেস স্টেশন নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে প্রোটন রটেকগুলো। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতার মুখে অনেকটাই পর্দার পেছনে পড়ে গেছে প্রোটন রকেট। এক সময়, বছর জুড়ে ১০ থেকে ১২ বার মহাকাশ মিশনে গেলেও, ২০১৫ সালের পর সেটি নেমে এসেছে সর্বোচ্চ তিনবারে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কারিগরি জটিলতায় বিধ্বস্ত হয়ে সংবাদের শিরোনামে এসেছে রাশিয়ার রকেটগুলো। ২০১০ সালে রকেটে উপরের স্তরে ভুলে প্রয়োজনের বেশি প্রোপেল্যান্ট বহন করায় সাগরে আছড়ে পড়েছিল একটি রকেট। যন্ত্রাংশ স্থাপনে ভুলের কারণে ২০১৩ সালে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মাথায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল আরেকটি রকেট।
ওই একই সময়ে বাজারে অভিষেক ঘটে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের। প্রোটন রকেটের চেয়ে ফ্যালকন ৯-এর খরচ কম, নির্ভরযোগ্যতাও বেশি। ফলে বাজার হারাতে শুরু করে রাশিয়ার প্রোটন রকেটগুলো।