০১. কোথাও বেড়াতে গেলে বা অফিসের কাজেই কোনো সফরে ল্যাপটপ যদি সঙ্গে নিয়ে যান, তবে সিডি, ডিভিডি এবং পেন ড্রাইভ ল্যাপটপ থেকে সরিয়ে ফেলুন। এ ছাড়াও, ল্যাপটপটি পুরোপুরি বন্ধ করুন, যাকে বলে শাট ডাউন করা। কোনো ভাবেই স্লিপ মোড বা স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখে সফর করবেন না।
০২. চালু অবস্থায় তাপমাত্রার খুব বেশি ওঠানামা ল্যাপটপে প্রভাব ফেলতে পারে। যদি বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে খুব শীতল এসি পরিবেশে ল্যাপটপ নিয়ে আসেন বা উল্টোটা ঘটে, তবে একে প্রথমে কিছুক্ষণ রেখে দিন। চলতি তাপমাত্রায় আসার পর এতে কাজ করতে শুরু করুন।
০৩. নোটবুকের ডিসপ্লে হচ্ছে এর সবচেয়ে ভঙ্গুর এবং ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। এটি সহজেই ক্র্যাক করতে বা ফেঁটে যেতে পারে। তাই, শুধু অনুমোদিত তরল বা মনিটর ওয়াইপ দিয়ে ল্যাপটপের পর্দা পরিষ্কার করুন। স্ক্র্যাচ করতে পারে এমন কোনও সূক্ষ্ণ ধাতব বস্তু দিয়ে স্ক্রিন স্পর্শ করবেন না।
০৪. শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে এমন কোনো যন্ত্রপাতির কাছাকাছি ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়। এ সবের মধ্যে রয়েছে টেলিভিশন, বড় স্পিকার এবং কিছু উচ্চ প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর। এমনকি যদি দুটিই চালু থাকে তবে মোবাইল ফোনটি ল্যাপটপের উপরে না রাখাই ভালো।
০৫. কাজ না করলে, যতোটা সম্ভব ল্যাপটপের ডিসপ্লে লিড নামিয়ে রাখুন। এর ফলে কিবোর্ডে ধূলিকণার প্রবেশ কম রাখা সম্ভব হয়। সেইসঙ্গে ব্যাটারির আয়ু বাঁচবে এবং হাত থেকে ছিটকে চা-কফি পরে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে কীবোর্ডকে বাঁচাবে।
০৬. ডেস্কটপ কম্পিউটারের চেয়ে আরও দ্রুত এবং অতিরিক্ত গরম হতে পারে ল্যাপটপ। এর ফলে কম্বল, বালিশ বা এ জাতীয় জিনিসপত্রের কাছে ল্যাপটপ রাখবেন না। এর ফলে ল্যাপটপের ভেতরে বায়ুচলাচল বন্ধ হয়ে একে অস্বাভাবিকরকম গরম করে তুলতে পারে।
০৭. ল্যাপটপ আপনাকে ডেস্কটপের তুলনায় কাজে নমনীয়তা দেয়, সত্যি। কিন্তু এতে বাড়াবাড়ি করতে যাবেন না যেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সি বিচে ল্যাপটপ নিয়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে এর ভেতর বালু ঢোকানোর ঝুঁকি নেওয়া। রান্নাঘরে তাকের ওপর রাখার বিপদ হলো, এটি সিঙ্কে বা মেঝেতে পড়তে পারে।
০৮. বহন করতে হলে সবসময় এটি একটি ভাল মানের ল্যাপটপ ব্যাগ বা কুশন কেসে বহন করা উচিত। এর ফলে পড়ে যাওয়া বা হঠাৎ আঘাত থেকে ল্যাটপটটি রক্ষা পেতে পারে। ল্যাপটপের উপরে কখনও কিছু রাখার অভ্যাস না করাই উচিত।
০৯. আপনার ল্যাপটপে পাসওয়ার্ড সেট আপ করুন। কখনও হারিয়ে গেলে অন্তত যেন আপনার ফাইলপত্র অন্যের হাতে না পড়ে।
১০. একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) অ্যাকাউন্ট খুলুন। পাশাপাশি, কফি হাউস, বিমানবন্দর, হোটেল এবং ফাস্টফুডের দোকানের ওয়াইফাই হটস্পট ব্যবহার করার সময় ভিপিএন ব্যবহার করুন। এর ফলে, আপনার ইন্টারনেট সংযোগ নিরাপদ থাকবে।