২০২১ সালের পুরোটা জুড়ে মার্কিন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সক্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর র্যানসমওয়্যার হামলা চালিয়ে একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছিল হ্যাকারদের দলটি। এর সদস্যদের চিহ্নিত করতে বা খুঁজে পেতে সহায়ক যে কোনো তথ্যের জন্য এক কোটি ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল মার্কিন সরকার।
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি জানিয়েছে, হ্যাকারদের দলটির কোনো অস্তিত্ব “আর নেই।”
গ্রেপ্তারকৃত হ্যাকারদের যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে না– মন্তব্য বিবিসি’র।
তবে, এফএসবি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ‘আরইভিল’-এর সদস্যদের ধরতে তৎপর হয়েছিল তারা।
প্রতিবেদনে রাশিয়ার সংবাদসংস্থা ‘তাস’ বলছে, আরইভিল “ক্ষতিকর সফটওয়্যার নির্মাণ করেছে” এবং “বিদেশি নাগরিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরির ব্যবস্থা করেছে।”
“অপরাধীদের সংগঠনটি আর নেই এবং অপরাধী কর্মকাণ্ডে যে তথ্য অবকাঠামো ব্যবহৃত হতো, সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”-- বিবৃতিতে বলেছে এফএসবি।
রাশিয়া আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই আরইভিল সদস্যদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিল এফএসবি। বিবিসি জানিয়েছে, নেটো আরও বিস্তার লাভ করবে না, পশ্চিমা শক্তির কাছ থেকে এই নিশ্চয়তা চাইছে রাশিয়া। অন্যদকে, ইউক্রেইন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে এক লাখ রাশিয়ান সৈনিক।
সাইবার অপরাধ এবং সার্বিক সাইবার সম্পর্কের বিবেচনায় আরইভিল সদস্যদের গ্রেপ্তারকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সম্পর্কে স্বরণীয় ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছে বিবিসি। দীর্ঘদিন ধরেই র্যানসমওয়্যার হ্যাকারদের নিরাপদে পালিয়ে থাকার সুযোগ দানের অভিযোগ প্রথ্যাখ্যান করে এসেছে রাশিয়া।
গেল বছর জেনিভায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে র্যানসমওয়্যার মোকাবেলার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, সবচেয়ে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরাও ওই আলোচনা থেকে ইতিবাচক কোনো অগ্রগতির প্রত্যাশা ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি বলছে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সাইবার অপরাধ দমনে জোট বেঁধেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।