ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তরে জোর দেবে চীনের মন্ত্রী পরিষদ

দেশের ‘ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে’ নতুন পরিকল্পনার নিয়েছে চীনের মন্ত্রীপরিষদ। ৬জি আর ডেটা সেন্টার প্রযুক্তির বিস্তার বাড়িয়ে জাতীয় জিডিপি’তে প্রযুক্তিখাতের অংশগ্রহণ বাড়াতে চাইছে দেশটির সরকার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2022, 11:24 AM
Updated : 12 Jan 2022, 12:45 PM

বুধবার ২০২৫ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা জানিয়েছে দেশটির ‘স্টেট কাউন্সিল’। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিকল্পনার মূলে রয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি ব্যবস্থা। ২০২০ সালে চীনের জাতীয় জিডিপিতে ডিজিটাল অর্থনীতির অংশগ্রহণ ছিল ৭.৮ শতাংশ। ২০২৫ সালে মধ্যে জিডিপিতে ডিজিটাল অর্থনীতির অংশগ্রহণ ১০ শতাংশ নেওয়ার পরিকল্পনা চীনের মন্ত্রী পরিষদ হাতে নিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তি খাতকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে চীন সরকার। দেশটির বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের রক্ষণশীল আচরণ পশ্চিমা কাঠামোর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তি শিল্প ব্যবস্থার সঙ্গে অনেক হিসেবেই সাংঘর্ষিক।

এই পরিস্থিতিতে গেল বছরে স্থানীয় বাজারে উপস্থিত পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। চীনের বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে ‘ইয়াহু ইনকর্পোরেটেড’, মাইক্রোসফটের ‘লিংকডইন’ এবং গেইম নির্মাতা ‘এপিক গেইমস’-এর মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

বাজার নিয়ন্ত্রকদের বিধিনিষেধ আর কঠোর নীতিমালা থেকে রেহাই পায়নি পশ্চিমা ব্যবসা কৌশল অবলম্বনকারী স্থানীয় প্রতিষ্ঠানও। চাপের মুখে পিছ পা হতে বাধ্য হয়েছে আলিবাবা এবং টেনসেন্টের মতো চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট।

মন্ত্রীপরিষদের সাম্প্রতিক পরিকল্পনার মধ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে বড় পরিসরে ডেটা সেন্টার নির্মাণের গতিবৃদ্ধির বিষয়টি। এ ছাড়াও গিগাবিট ব্রডব্যান্ড সংযোগ ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও বাড়াতে চায় চীনা কর্তৃপক্ষ, ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যবহারকারী সংখ্যা ৬৪ লাখ থেকে বাড়িয়ে ছয় কোটিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটি।

এ ছাড়াও চীনের ডিজিটাল অর্থনীতির অবকাঠামোগত দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের কথাও বলেছে কর্তৃপক্ষ।

“চীনের ডিজিটাল অর্থনীতি উন্নয়নের পথে কিছু জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জও আছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উদ্ভাবনী সক্ষমতার অভাব… তথ্য সম্পদ বিশাল, কিন্তু এর সম্ভব্না এখনো সবাই বুঝতে পারেনি; ডিজিটাল অর্থনীতির শাসন ব্যবস্থাতেও আরো উন্নতি প্রয়োজন।”-- বলা হয়েছে ওই পরিকল্পনায়।