ডাকাত ধরতে না গিয়ে মার্কিন পুলিশ দু’জন খেলছিলেন পোকেমন!

যে সময়ে ডাকাত ধরার জন্য তাদের পিছু নেওয়ার কথা ছিল, ঠিক সে সময়ে তারা নিজেদের মোবাইল ফোনে খেলছিলেন ‘পোকেমন গো’। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2022, 07:35 AM
Updated : 12 Jan 2022, 07:57 AM

এই অপরাধে ওই দুজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের চাকরি হারিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

এক দোকানে ডাকাতি ঘটার সময় কাছেই পার্ক করা গাড়িতে ছিলেন পুলিশ দু’জন। তারা ওয়্যারলেসে সাহায্য চাওয়া বার্তা পেলেও তাতে সাড়া না দিয়ে পোকেমন খেলতে থাকেন বলে অভিযোগ মিলেছে।

এরপর তারা গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করছিলেন পোকেমন গেইমের ‘স্নরল্যাক্স’ নামে এক কাল্পনিক চরিত্রকে। পুলিশ দু’জন অভিযোগ অস্বীকার করলেও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তার বিপরীত তথ্য।

বেশ কিছুদিন আগে ঘটা এই ঘটনা প্রকাশ্যে এলো যখন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ দু’জন আপিল করেন এবং আদালত ওই আপিল খারিজ করে দেন।

লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশের যে গাড়িতে ছিলেন চাকরি খোয়ানো দু’জন পুলিশ ‘গেইমার’, সেই গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে বসানো ভিডিও ক্যামেরায় মিলেছে ঘটনার বৃত্তান্ত।

ছবি: পোকেমন গো

ভিডিওতে দেখা যায়, সহায়তার জন্য ডাক আসার পরও তারা ওই কলে সাড়া না দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলসের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি নিয়ে গিয়েছেন পোকেমনের ওই কাল্পনিক চরিত্র ‘ধরার জন্য’। পোকেমন গেইমে এই চরিত্রটিকে কদাচিত পাওয়া যায়।

খেলার সময় উত্তেজনার বশে গেইমটি নিয়ে তারা পরষ্পর আলাপও করছিলেন বলে ধরা পড়েছে গাড়ির ওই ভিডিও রেকর্ডে।

পোকেমন গো কী, কীভাবে খেলতে হয় এটি?

পোকেমন গো হচ্ছে স্মার্টফোনভিত্তিক একটি অগমেন্টেড রিয়ালিটি গেইম। এই গেইমটি ফোনের ক্যামেরা ও জিপিএস তথ্যের সহায়তায় খেলোয়াড়ের মোবাইল ফোনে তার আশপাশের হুবহু ত্রিমাত্রিক পরিবেশ দেখায়। এর মধ্যেই গেইমটি ওই পরিবেশে যোগ করে দেয় কিছু কাল্পনিক চরিত্র। খেলোয়াড়ের কাজ হলো ওই কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে বন্দী করা। এই চরিত্রগুলোকেই সাধারণভাবে পোকেমন নামে ডাকা হয়, তবে প্রতিটি চরিত্রের আলাদা নামও থাকে।

গেইমটির নির্মাতা মার্কিন সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিয়ানটিক। জাপানি গেইম নির্মাতা নিনটেনডোর সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে প্রকাশ করে গেইমটি। প্রথম বছরেই এটি ডাইনলোড হয় ৫০ কোটি বার। ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ মাসে গেইমটির সক্রিয় খেলোয়াড় সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১৫ কোটি এবং ২০১৯ সালের শুরু নাগাদ নিয়ানটিকের আয় দাঁড়ায় ছয়শ’ কোটি ডলার।