পেপালের বিবেচনায় নিজস্ব ‘স্টেবলকয়েন’, প্রমাণ অ্যাপের কোডে

পেপাল একাধিক ক্রিপ্টোকয়েন লেনদেন এবং জমা রাখার সেবা চালু করেছে আগেই। এবার নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েন প্রচলনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষ মাধ্যমটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2022, 09:50 AM
Updated : 8 Jan 2022, 09:50 AM

নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েন নিয়ে ভাবনার বিষয়টি বাণিজ্যসংবাদ প্রকাশনা ব্লুমবার্গকে নিশ্চিত করেছে পেপাল। ‘স্টেবলকয়েন’ প্রচলনের কথা ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রচলিত অন্যান্য ‘ক্রিপ্টোকয়েন’ বা ডিজিটাল মুদ্রার সঙ্গে ‘স্টেবলকয়েন’-এর পার্থক্য হচ্ছে, মূল ধারার আর্থিক ব্যবস্থায় স্বীকৃত মুদ্রার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ হয় ‘স্টেবলকয়েন’-এর।

প্রতিষ্ঠানটি যে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং মার্কিন ডলার সমর্থিত ‘পেপাল কয়েন’ নিয়ে কাজ করছে। অ্যাপের কোড বিশ্লেষণ করে তার প্রমাণ পেয়েছেন ওই ডেভেলপার।

পেপালের আইওএস অ্যাপে ‘নিও’ নামের আরেকটি ক্রিপ্টোকয়েনের তথ্য পেয়েছেন বলে নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘টেপ ড্রাইভ’-জানিয়েছেন মোসের।

পেপাল নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় সমন্বয় করছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তারই ফলশ্রুতিতে পেপাল এবার মার্কিন ডলার সমর্থিত নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।

পেপাল মার্কিন সেবাগ্রাহকদের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা রাখার সেবা চালু করেছে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। পরের বছরের মার্চ মাসে ক্রিপ্টোকারেন্সি সমর্থনের পরিধি আরো বাড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। প্ল্যাটফর্মটির দুই কোটি ৯০ লাখ মার্চেন্টের কাছ থেকে সমর্থিত ক্রিপ্টোকয়েনের মাধ্যমে ক্রয়ের সেবা চালু করেছে তারা।

পেপাল অ্যাকাউন্টে ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা রাখার জন্য কোনো খরচ কাটে না পেপাল। তবে লেনদেনের বেলায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বা তার কম খরচ হিসেবে কেটে রাখে প্ল্যাটফর্মটি। পেপালের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকয়েন কেনার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, ক্রিপ্টোকয়েনের বেলাতেও ব্যবহারকারীদের প্রতারিত হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখে ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেন সেবাটি।

সিনেট বলছে, নিজস্ব ‘স্টেবলকয়েন’ নিয়ে পেপালের অগ্রগতি কতোটা সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব অ্যাপের কোডে যে প্রমাণ মিলেছে, সেটিও এসেছে এক অভ্যন্তরীণ হ্যাকাথন থেকে।  ‘পেপাল কয়েন’ লোগোটিও ওই হ্যাকাথন থেকে এসেছে বলে ব্লুমবার্গকে নিশ্চিত করেছেন এক পেপাল মুখপাত্র। প্রতিষ্ঠানটি এই প্রকল্প নিয়ে আরো এগোলে এর নাম ও বিস্তারিত সবই পাল্টে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সিনেট।