বিশ্বের শীর্ষ এই মেমোরি চিপ নির্মাতা ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে এক হাজার ১৫০ কোটি ডলার আয় হয়েছে বলে অনুমান করছে; ৫২ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
চুক্তিভিত্তিক চিপ উৎপাদন ব্যবসা আর আর সার্ভার মেমোরি চিপের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা থেকেই স্যামসাংয়ের এই সাফল্য বলে জানিয়েছে বিবিসি। “পিসি আর ইলেকট্রনিক্সের রেকর্ড ভাঙ্গা চাহিদা থেকে মুনাফা অর্জনের জন্য সঠিক অবস্থানে আছে স্যামসাং”-- মন্তব্য করেছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষক স্যাম রেইনল্ডস।
স্যামসাং মুদ্রাবাজারের অস্থিতিশীলতা থেকেও লাভবান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। “কোরিয়ান ওনের মূল্য কমেই যাচ্ছে। এতে বৈশ্বিক বাজারে কোরিয়ার রপ্তানি আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।”
তবে বাজার বিশ্লেষকরা যতোটা আশা করছিলেন, স্যামসাংয়ের প্রত্যাশিত মুনাফা তার চেয়ে কম; কর্মীদের বোনাস আর স্মার্টফোন ব্যবসার বাজারজাতকরণ খরচের কারণেই স্যামসাংয়ের প্রত্যাশিত মুনাফা বাজার বিশ্লেষকদের ধারণার চেয়ে কম বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বৈশ্বিক চিপ সঙ্কটের জেরে বিপাকে পড়েছে প্রযুক্তি খাতের হার্ডওয়্যার উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছে যানবাহন নির্মাতাদের, নতুন আইফোন সরবরাহে দেরি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে অ্যাপল।
চীনের শিয়ানে অবস্থিত স্যামসাংয়ের কারখানার দিকেও নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। ২৩ ডিসেম্বর থেকে লকডাউনে রয়েছে শহরটি। কারখানার কার্যক্রমে “অস্থায়ী সমন্বয়ের” কথা বলেছে স্যামসাং। তবে, বিস্তারিত জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
নভেম্বর মাসে এক হাজার সাতশ’ কোটি ডলার খরচে নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত ‘টেইলর’ শহরটিকে বাছাই করার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চালু হওয়ার কথা রয়েছে কারখানাটির। মার্কিন ভূ-খণ্ডে স্যামসাংয়ের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এটি।