প্রথম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি হাব’ হওয়ার পথে জিব্রাল্টার?

জিব্রাল্টারের স্টক এক্সচেঞ্জ কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ব্লকচেইন প্রতিষ্ঠান ‘ভ্যালেরিয়াম’। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের ‘গ্লোবাল হাব’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে জিব্রাল্টার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2021, 11:23 AM
Updated : 28 Dec 2021, 11:23 AM

একসময়ে ‘ট্যাক্স হেভেন’ হিসেবে পরিচিতি ছিল আইবেরিয়ান পেনিনসুলার দক্ষিণে অবস্থিত জিব্রাল্টার। ভ্যালেরিয়ামের প্রস্তাব অনুমোদন পেলে ডোজকয়েন ও বিটকয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা লেনদেন প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা পালন করবে জিব্রাল্টার; পাশাপাশি প্রচলিত বন্ডের লেনদেন হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, সব যদি ঠিকঠাক মতো হয়, তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির ঊর্ধ্বমুখী বাজারের কেন্দ্র পরিণত হবে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলটি। কিন্তু উল্টোটা হয়ে পরিস্থিতি যদি নেতিবাচক দিকে মোড় নেয় তবে, “সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত” হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে জিব্রাল্টার।

ব্লকচেইন প্রতিষ্ঠানের জিব্রাল্টারের শেয়ার বাজার কেনার প্রস্তাবকে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে দেখছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট। গেল দুই বছর লক্ষণীয় হারে বেড়েছে বিটকয়েন, ইথার এবং ডোজকয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রাগুলোর বাজারমূল্য।

ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে ইলন মাস্ক এবং জ্যাক ডরসি’র মতো প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বিভিন্ন সময়ে টুইটারসহ বিভিন্ন মূলধারার মাধ্যমে ডোজকয়েনসহ ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তির সমর্থনে কথা বলেছেন মাস্ক। আর টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ ছাড়ার পর নিজের প্রতিষ্ঠান ‘স্কয়ার’-এর নাম পাল্টে ‘ব্লক’ রেখেছেন জ্যাক ডরসি। প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের এহেন কর্মকাণ্ড দেখে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন সাধারণ ব্যবহারকারীরাও।

তবে এই প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি ভ্যালিরিয়াম এবং জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আর অপেক্ষমান চুক্তি নিয়ে মুখ খোলেনি এদের কেউ।