এ বিষয়ে সরকারের টাস্কফোর্সের গবেষণা ও উন্নয়ন উপ-কমিটির ওই সভায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সময়োপযোগী এবং বাস্তবায়নযোগ্য ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়নে শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মঙ্গলবার ওই মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিভিত্তিক (এডটেক) প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্মত উদ্ভাবনের উপযুক্ত স্বীকৃতি প্রদান এবং প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে জানিয়েছে এটুআই বিভাগ।
“আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা এডটেক উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে চাই, প্রয়োজনে সরকার এতে বিনিয়োগ করতে পারে।” সভায় শিক্ষা খাতে দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
“ব্লেন্ডেড শিক্ষা বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ বেশি।” – উপমন্ত্রী বলেন।
দেশে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের জন্য কন্টেন্ট তৈরির সুযোগ এবং এ বিষয়ে মনযোগ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষকদের সক্ষমতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এটুআই-এর নীতিমালা উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী।
“অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কন্টেন্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন এবং এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিদপ্তরগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে। ইন্টারনেট প্রটোকলের মত এডটেক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটা গাইডলাইন তৈরি করা যেতে পারে।”
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক এবং ব্লেন্ডেড শিক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন উপ-কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে, এম, রুহুল আমীন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, এনসিটিবি’র প্রতিনিধি এবং এটুআই প্রোগ্রামের নীতিমালা উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। সভায় নিজেদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন এডটেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।