কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মীদের প্রতি গুগলের বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে তদন্ত করলেও ডিএফইএইচ গুগলের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলবে কি না, বা মামলা করবে কি না, সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। রয়টার্স বলছে, ডিএফইএইচ গুগল কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মানে এই নয় যে মামলা করা হবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের শুরুতে প্রকাশিত গুগলের ‘ডাইভারসিটি রিপোর্ট’ অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির ১.৮ শতাংশ কর্মী কৃষ্ণাঙ্গ নারী। তবে, অন্য জাতিসত্ত্বা বা লিঙ্গের কর্মীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের প্রতিষ্ঠান ছাড়ার হার বেশি।
সংখ্যালঘুদের প্রতিভা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির যে “আরও উন্নতির জায়গা আছে”, ওই প্রতিবেদনে সেটি স্বীকার করে নিয়েছিল গুগল নিজেই।
নারী কর্মীদের প্রতি গুগলের বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ নতুন নয়। এ বছরেই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চারজন সাবেক নারী কর্মী। ওই কর্মীদের অভিযোগ– পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় কম বেতন-বোনাস পেয়েছেন তারা।
সাবেক কর্মী টিমনিট গেব্রুর কারণেও খবরের শিরোনাম হয়েছিল গুগল। এআই প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহার নিয়ে সোচ্চার গেব্রুর অভিযোগ– নিজস্ব গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের কার্যপ্রণালীতে আরও স্বচ্ছতা দাবি করায় কর্মস্থলে বিরূপ পরিস্থির মুখে পড়েন তিনি এবং চাকরিচ্যূত করা হয় তাকে।
নিজের ইমেইল অ্যাকাউন্টে গেব্রুর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রমাণের খোঁজ করায় চাকরি হারানোর অভিযোগ করেছেন গুগলের আরেক সাবেক নারী কর্মী।
তবে ভার্জকে পাঠানো এক বিবৃতিতে গুগলের মুখপাত্র শ্যানন নিউবেরি দাবি করেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মীদের ধরে রাখতে নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে গুগল।
“আমাদের লক্ষ্য এটা নিশ্চিত করা যে সকল কর্মী যেন গুগলে বন্ধুসুলভ কর্মস্থলের অভিজ্ঞতা পান।”-- বিবৃতিতে বলেন নিউবেরি।