মেটাভার্সের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীর সক্ষমতা ‘ধার করবে’ ইনটেল

প্রথমবারের মতো ‘মেটাভার্স’ প্রসঙ্গে জনসমক্ষে মুখ খুলেছে চিপ নির্মাতা ইনটেল। প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি মেটাভার্সে ব্যবহার উপযোগী সফটওয়্যার তৈরি করছে যার সাহায্যে একটি ল্যাপটপ প্রয়োজনে অন্য ডিভাইসের কম্পিউটিং ক্ষমতাও ধার করতে পারবে। নির্মাতা নির্বিশেষে যে কোনো চিপসেটই এর আওতায় আসবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2021, 10:10 AM
Updated : 14 Dec 2021, 10:10 AM

‘মেটাভার্স’ ভাবনাকে নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে সংজ্ঞায়িত করা সহজ কাজ নয়। ‘মেটাভার্স’ শব্দটি দিয়ে সাধারণত এমন একটি ডিজিটাল দুনিয়ার কথা বলা হয়, যেখানে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল জগতে যুক্ত হতে পারবেন ব্যবহারকারী। আর ওই ডিজিটাল দুনিয়ায় ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্রবেশ করা যাবে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস থেকে।

রয়টার্স বলছে, মেটাভার্স সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে কম্পিউটিং ক্ষমতার ব্যবহার অসম্ভবরকম বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেট ও এই খাতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য হার্ডওয়্যারের জন্য চিপ ও সফটওয়্যার বানায় এনভিডিয়া কর্পোরেশন এবং কোয়ালকম ইনকর্পোরেটেড। কম্পিউটার চিপ নির্মাতা হিসেবে ইনটেলের কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয় উভয় প্রতিষ্ঠানকে। মেটাভার্স প্রযুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক হৈচৈ-এর ফলে বিনিয়োগকারীদের বাড়তি সমর্থন পাচ্ছে এনভিডিয়া ও কোয়ালকম।

সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে ইনটেলের ‘অ্যাক্সেলেরেটেড কম্পিউটিং সিস্টেমস অ্যান্ড গ্রাফিক্স গ্রুপ’ প্রধান রাজা কদুরি বলেছেন, মেটাভার্স দুনিয়ায় তার প্রতিষ্ঠানের প্রথম অংশগ্রহণ হবে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যা বিভিন্ন ডিভাইসের অব্যবহৃত কিন্তু বিদ্যমান কম্পিউটিং ক্ষমতার সুযোগ নেবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে গেইমারদের কথা। ধরা যাক, ল্যাপটপে এমন গেইম খেলার চেষ্টা করছেন একজন গেইমার, যার গ্রাফিক্সের কারণে বাড়তি চাপ পড়ছে ল্যাপটের অভ্যন্তরীণ চিপের উপর। কিন্তু পাশের ঘরেই একটি অব্যবহৃত গেইমিং পিসি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি হোম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গেইমিং পিসির কম্পিউটিং ক্ষমতা ল্যাপটের গেইমটির জন্য ধার করতে পারবে ইনটেলের সফটওয়্যার। 

সফটওয়্যারটি ইনটেলের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের তৈরি চিপের সঙ্গেও কাজ করবে বলে জানিয়েছেন কদুরি। সফটওয়্যারটির তৈরি করা হয়েছে সেবাগ্রাহকদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সৃষ্ট কারিগরি জটিলতার সমাধানের জন্য, ইনটেলের জন্য বড় আয়ের নতুন খাত তৈরির জন্য নয়; এর একটা অংশ ভাগবাটোয়ারাও করা হবে বলে জানিয়েছেন কদুরি।

“এভাবে আমরা সবগুলো স্তর নির্মাণ করবো যা সবার হার্ডওয়্যারের সঙ্গে কাজ করবে যতোক্ষণ পর্যন্ত সেটি শিল্পের বর্তমান মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে। আমরা যা কিছুই বানাই না কেন, তার অনেক কিছুই ওপের সোর্সিংয়ের মাধ্যমে হবে।”-- সংবাদকর্মীদের বলেছেন কদুরি।