বিক্রেতার ভুলে তিন লাখ ডলারের এনএফটি গেল তিন হাজারে

নন ফাঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটি ভক্তদের মধ্যে আলাদা পরিচিতি আছে ‘বোরড এপ ইয়ট ক্লাব’-এর। বিশ্বের সবচেয়ে ‘মর্যাদাপূর্ণ’ হিসেবে পরিচিত এনএফটি সংগ্রহটি থেকে দুর্ঘটনাবশত তিন লাখ ডলার মূল্যের এনএফটি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ডলারে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2021, 12:24 PM
Updated : 13 Dec 2021, 12:24 PM

‘বোরড এপ ইয়ট ক্লাব’-এর সদস্যের মধ্যে আছেন জিমি ফ্যালন, স্টিফেন কারি এবং পোস্ট ম্যালনের মতো পশ্চিমা তারকা ব্যক্তিরা। এনএফটি কিনে সদস্য হতে হয় এর। আর সদস্য হওয়ার সর্বনিম্ন খরচ ৫২ ইথার বা দুই লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে ‘বোরড এপ ইয়ট ক্লাব’-এর এনএফটি বেচতে গিয়ে নিজের ভুলে ফেঁসে গেছেন এর সদস্য ম্যাক্স; ইউজারনেইম ‘ম্যাক্সনট’। ৭৫ ইথার বা তিন লাখ ডলার দামে নিজের এনএফটি বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভুলে ৭৫ ইথারের বদলে এনএফটি-টি তালিকাভুক্ত করেন ০.৭৫ ইথারে। আর এতেই লেগেছে গোলমাল, তিন লাখ ডলারের এনএফটি বিক্রি হয়ে গেছে তিন হাজার ৬৬ ডলারে।

সিনেট জানিয়েছে, ম্যাক্সের ভুলের পুরো সুযোগ নিয়েছেন ক্রেতা। লেনদেনের সময় বাড়তি ৩৪ হাজার ডলার খরচ করেছেন শুধু লেনদেনের গতি বাড়ানোর জন্য।  লেনদেনে শেষ হতে না হতেই ক্রেতা ‘বোরড এপ’ এনএফটি-টি বিক্রির জন্য আবারও তালিকাভুক্ত করেন দুই লাখ ৪৮ হাজার ডলার দামে। 

ম্যাক্স বলছেন, “মনোযোগের কমতি” থাকাতেই ঘটেছে ওই ‘দুর্ঘটনা’।

“আমি প্রতিদিনই অনেক কিছু বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করি, আর সেদিন ঠিক মনোযোগ দিচ্ছিলাম না।” ভুল সঙ্গে সঙ্গে নজরে পরলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত ‘বাতিল’ করার আগেই লেনদেন সম্পূর্ণ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ম্যাক্স।

ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে অংশগ্রহণকারীদের ভুলের প্রথম ঘটনা নয় এটি। ২০১৯ সালে টেদার কয়েনের মূল প্রতিষ্ঠান ভুল করে পাঁচশ কোটি ডলার সমমূল্যের নতুন কয়েন তৈরি করে ফেলেছিল। মার্চ মাসেই এক ক্রেতাকে সাতশ’ জেমিনাই ডলার পাঠাচ্ছিল ডিজিটাল মুদ্রা বিক্রেতা ব্লকফি, প্রতিটির দাম ১ ডলার হওয়ার কথা থাকলেও ভুলে ক্রেতাকে কয়েক লাখ ডলারের বিটকয়েন পাঠিয়ে বসে প্রতিষ্ঠানটি।

ক্রিপ্টোকারেন্সিভিক্তিক লেনদেনগুলো বিকেন্দ্রিক হওয়ায় কোনো ভুল লেনদেনের ক্ষেত্রে তা বাতিল করার সুযোগ থাকে না বললেই চলে। এক্ষেত্রে হারানো অর্থসম্পদ ফেরত পাওয়ার উপায় থাকে একটিই-- লেনদেন থেকে লাভবান ব্যক্তির সদিচ্ছা।