টেসলা ছেড়ে ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার কথা ‘ভাবছেন’ মাস্ক

পেশা পাল্টে ফেলার কথা ভাবছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। টেসলা আর স্পেসএক্স ছেড়ে পুরোদস্তুর ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে যাবেন কি না, সে বিষয়ে টুইটার ভক্তদের মতামতও চেয়েছেন আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2021, 10:21 AM
Updated : 11 Dec 2021, 10:21 AM

মাস্ক বৃহস্পতিবার টুইট করেছেন, “আমার চাকরিগুলো ছেড়ে দিয়ে পুরোদস্তুর ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে যাওয়ার কথা ভাবছি, তোমাদের কি মত”। এখনও টুইটের কোনো ব্যাখ্যা দেননি মাস্ক। ওই টুইটের ব্যাপারে মাস্ক কতোটুকু আন্তরিক, সে বিষয়টিও পরিষ্কার নয়।

টুইটারে বিভিন্ন সময়ে রসিকতা করার পুরনো অভ্যাস রয়েছে মাস্কের। মার্কিন রাজনীতিবিদ ও প্রযুক্তি বাজারের বিভিন্ন শীর্ষ ব্যক্তিদের সুযোগ বুঝে খোঁচা দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন সময়ে মাস্কের মূল অস্ত্র ছিল মাইক্রোব্লগিং সেবাটি। আবার, টেসলার শেয়ার বেচে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও সম্প্রতি টুইটার ভক্তদের মতামত নিয়েছেন মাস্ক।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মাস্ক। ব্রেইন-চিপ স্টার্টআপ ‘নিউরালিংক’ এবং অবকাঠোমো নির্মাতা ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’র নেতৃত্বও রয়েছে তার অধীনে। আরও “বেশ কয়েক বছর” টেসলা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন-- এক সম্মেলনে মাস্ক এমন কথা বলেছিলেন চলতি বছরের শুরুতেই।

“দিন রাত কাজ করার বদলে হাতে আরেকটু সময় পেলে ভালোই হবে। সপ্তাহের ৭ দিন ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ করি আমি। বেশ কঠিন বিষয়।”

নভেম্বর মাসেই টুইটার দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছিলেন মাস্ক। বকেয়া কর পরিশোধ করতে টেসলার ১০ শতাংশ শেয়ার বেচে দেবেন কি না, টুইটারেই সেই জরিপ শুরু করে দিয়েছিলেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার দুইশ’ কোটি ডলারের টেসলা শেয়ার বেচেছেন মাস্ক।

বিভিন্ন সময়ে প্রযুক্তি খাতে সরকারি নীতিমালা ও হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে টুইটার ভক্তদের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দেওয়ার ইতিহাসও আছে মাস্কের। ২০১৮ সালেই টুইটার পোস্টের কারণে মাস্ককে দুই কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন।  

মাস্কের সর্বশেষ টুইট নিয়ে আইনি প্রতিষ্ঠান মোজেস অ্যান্ড সিঙ্গারের অংশীদার হাওয়ার্ড ফিশারের মত-- আইনি জটিলতার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই মাস্কের সর্বশেষ টুইট নিয়ে; কারণ, বেশ অস্পষ্ট মাস্কের টুইটের মূল বার্তা।

এ ছাড়াও প্রযুক্তি শিল্পের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের টুইটার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করলে মাস্কের সকল টুইট সমান গুরুত্ব বহন করে না বলেই মনে করেন তিনি।