দ্বিপক্ষীয় প্রস্তাবটি নিয়ে জোট বেঁধে কাজ করছেন ডেমোক্রেটিক দলের দুই সিনেটর এবং রিপাবলিকান দলের এক সিনেটর।
বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত নতুন আইনের ঘোষণা দিয়েছেন ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস কুনস এবং এমি ক্লবুশার, সঙ্গে ছিলেন রিপাবলিকান সিনেটর রব পোর্টম্যান। রয়টার্স জানিয়েছে, প্রস্তাবিত আইনটির অধীনে স্বাধীন গবেষকদের অভ্যন্তরীণ ডেটা দিয়ে সহযোগিতা করতে বাধ্য হবে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো। তবে. আগে ওই গবেষকদের কর্মকাণ্ড যাচাই করে দেখবে মার্কিন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ)’।
“গবেষকরা তারপর ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে জনসাধারণের উপর প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রভাব সম্পর্কিত ফলাফল জানাতে পারবেন”-- এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন ওই মার্কিন আইনপ্রণেতারা। পুরো প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের গোপনতা নিশ্চিত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, গবেষকদের চাহিদা অনুযায়ী ডেটা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে ওই প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)’ এবং ‘কমিউনিকেশন ডিসেন্সি অ্যাক্ট’ এর ধারা ২৩০-এর অধীনে প্রাপ্ত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আইনের ওই ধারাটির কারণে তৃতীয় পক্ষ বা ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা কন্টেন্টের দায়ভার প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর বর্তায় না।
তবে, নতুন প্রস্তাবটির সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসের ‘হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ’ থেকে কোনো প্রস্তাব আসেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
কিশোর বয়সীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাবে বিষয়টি ফটো-শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান ‘মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড’ (তৎকালীন ফেইসবুক) চেপে যাওয়ার খবর ফাঁস হওয়ায় বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে শিশুদের জন্য ইনস্টাগ্রামের আলাদা সংস্করণ নির্মাণের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই কিছু নীতিমালায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইনস্টাগ্রাম।
“বিগ টেক কর্মকাণ্ডকে ঘিরে স্বচ্ছতা বাড়াতে পারলে সেটি আইনপ্রণেতাদের মানসম্পন্ন ও যাচাইকৃত তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে যেটা আমাদের কাজের জন্য অতিজরুরী।”-- বিবৃতিতে বলেছেন রিপাবলিকান দলের সিনেটর রব পোর্টম্যান।