ফিচারটি নিয়ে ইনস্টাগ্রাম দীর্ধদিন ধরে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মোসেরি। কিন্তু এই ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো যখন সাবেক কর্মীদের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথিপত্রের কারণে বিভিন্ন দিক থেকে বিতর্ক ও চাপের মুখে পড়েছে ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান ‘মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড’; খুব শিগগিরই মার্কিন সিনেটে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম মোসেরির।
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ফিচারের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্য ‘এডুকেশনাল হাব’ নির্মাণের দাবিও করেছে ইনস্টাগ্রাম। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, শিশুর সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে অভিভাবকদের টিপস এবং টিউটোরিয়াল দেবে ওই হাবটি।
নভেম্বর মাসে ‘টেক এ ব্রেক’ ফিচার নিয়ে পরীক্ষা চালানো শুরু করে ইনস্টাগ্রাম। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নিউ জিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৭ অক্টেচাবর চালু হচ্ছে ফিচারটি। খুব শিগগিরই বড় পরিসরে বৈশ্বিক বাজারে ফিচারটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। একটানা বেশি সময় স্ক্রল করলে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে নোটিফিকেশন দেবে ফিচারটি। কতোক্ষণ স্ক্রল করার পর নোটিফিকেশন আসবে, সেটি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন ব্যবহারকারী নিজেই।
ইনস্টাগ্রাম অন্যান্য যে নিরাপত্তা ফিচার নিয়ে কাজ করছে তার মধ্যে আছে কিশোর বয়সীদের ট্যাগ করার সময় অনুমতি নেওয়ার ফিচার; ২০২২ সাল নাগাদ ফিচারটি বাজারজাত করার পরিকল্পনা ইনস্টাগ্রামের। এই ফিচারটি ‘ডিফল্ট’ অবস্থায় পোস্টে কিশোর বয়সীদের ট্যাগ বা ‘মেনশন’ করতে দেবে না। এ ছাড়াও জানুয়ারি মাসে ইনস্টাগ্রামে এক সঙ্গে অনেক কন্টেন্ট মুছে দেওয়ার ফিচার আসছে বলে জানিয়েছে ভার্জ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ব্যবহারকারীদের “ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট” ব্যবস্থাপনার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যেই ফিচারটি তৈরি করা হয়েছে।
নিজস্ব পোস্টে নতুন ফিচারগুলোর সমর্থনে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদের লিখিত বক্তব্য যোগ করেছে ইনস্টাগ্রাম। তবে মার্কিন সিনেটে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আইনপ্রণেতাদের মন জয় করতে মোসেরির বেশ বেগ পেতে হবে বলে অনুমান প্রকাশ করেছে ভার্জ।
তবে, এই প্রসঙ্গে ফেইসবুকের সমালোচনাকারীদের মধ্যে অন্যতম সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, “প্যারেন্টাল গাইড উন্মুক্ত করে মেটা নিজের ভুলের উপর থেকে নজর সরাতে চাইছে। টাইমার এবং কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণের ফিচারগুলো শুরু থেকেই ব্যবহারকারীর হাতে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তারা যা করছে, আমি এবং আমার সহকর্মীরা তা ঠিকই বুঝতে পারছি।”