আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইবে‘র অ্যালগরিদম বিভ্রাট থেকেই সূত্রপাত এই জটিলতার।
শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীরা অভিযোগ জানানো শুরু করেন, যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা ছাড়াই হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে তাদের ইবে অ্যাকাউন্ট।
সামাজিক মাধ্যম রেডিটে এই প্রসঙ্গে মূল পোস্টটি পড়ে মুছে দেওয়া হলেও পুরো একটি থ্রেড জুড়ে ইবে ভোগান্তি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। আকস্মিক ইবে জটিলতার ভূক্তভোগী হয়েছেন দুই দশকের বেশি সময় ধরে ই-কমার্স সাইটটিতে থাকা ব্যবহারকারীও।
এক ভুক্তভোগী লিখেছেন, “আপিলের কোনো সুযোগ ছাড়াই নিষিদ্ধ করা হয়েছে আমাকে। আর আলোচনার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে মহিলা (হেল্পলাইন) আমার কল কেটে দেয়। ১৯৯৯ থেকে সদস্য (ইবে’র), শতভাগ পজিটিভ, বেশ কয়েক বছর হল কিছু বেচিনি, কোনো সমস্যা ছিল না, গেল মাসেই পাঁচটি পণ্য কিনেছি।”
অন্যান্য ভুক্তভোগীদের মধ্যে কেউ কেউ পড়েছেন আরও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে। ক্রেতা দাম পরিশোধ করে হাতে পাওয়া পণ্যের নিলামে ওই ক্রেতার হাঁকা দাম বাতিল ঘোষণা করে ব্যবহারকারীদের জানান দিচ্ছে ইবে।
ভুক্তভোগীদের কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে ইবে মেইল পাঠিয়ে বলেছে, ‘ইবে কমিউনিটি’কে ঝুঁকিতে ফেলার কারণে স্থগিত বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের অ্যাকাউন্ট। ইবের গ্রাহকসেবা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাননি ব্যবহারকারীরা, বহাল রাখা হয়েছিল স্থগিতাদেশ।
রেডিট ছাড়াও টুইটারে ইবে নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবহারকারীরা। শনিবার কিছু অভিযোগের উত্তরও দিয়েছে ইবে। জটিলতা সমাধানে ইবে’র টুইটার অ্যাকাউন্টে মেসেজ পাঠাতে বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
“৩ ডিসেম্বর থেকে সীমিত সংখ্যক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট অসাবধানতাবশত স্থগিত করা হয়েছিল”-- বলে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে নিশ্চিত করেছেন ইবে মুখপাত্র ট্রিনা সমিরা। “ওই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে এবং যেসব ব্যবহারকারীকে আলাদা কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে, তাদেরকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট যে কোনো ভোগান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।”