শুক্রবারের ধসে দিদির বাজারমূল্য থেকে হাপিস হয়েছে ৮৪০ কোটি ডলার। আর নিউ ইয়র্কে তাদের আইপিও থেকে এই মূল্য শতকরা ৫৭ ভাগ কম বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
‘চীনের টুইটার’ নামে পরিচিত ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে দিদির ঘোষণাটি ছিল, “নিবিড় গবেষণার পর প্রতিষ্ঠানটি অবিলম্বে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তি থেকে বেরিয়ে আসবে এবং হংকংয়ে তালিকাভুক্তির প্রস্তুতি শুরু করবে।”
শুক্রবারের ওই ঘোষণাকে রয়টার্স অভিহিত করেছে “অত্যাশ্চর্যজনক” হিসেবে।
দিদি বিস্তারিত কিছু না বললেও ভিন্ন এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, প্রতিষ্ঠানটি এক “উপযুক্ত সময়ে শেয়ারহোল্ডার ভোট নেবে এবং নিশ্চিত করবে যে, এর নিউ ইয়র্কে তালিকাভুক্ত শেয়ারগুলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত আরেকটি এক্সচেঞ্জে “অবাধে লেনদেনযোগ্য শেয়ারে” রূপান্তর করা যাবে।
মার্কিন শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কেবল দিদি নয়, “মার্কিন শেয়ার বাজারে চীনা কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলছে।”
শুক্রবার আলিবাবা, বাইদুসহ বিভিন্ন চীনা প্রতিষ্ঠানের মার্কিন তালিকাভুক্ত শেয়ারের দাম কমে গেছে।
বেয়ার্ডের বাজার কৌশলবিদ মাইকেল আন্তোনেলি বলেন, “আপনি যদি অর্থ ব্যবস্থাপক হন এবং নিয়মকানুন না বোঝেন তাহলে আপনার জন্য সহজ কাজ হলো বিক্রি করে দিয়ে ওসই অর্থ এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেখানে খেলার নিয়ম আরও ভালভাবে বোঝেন।”
এর আগে সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স প্রতিবেদনে গত মাসেই জানিয়েছে, চীনা নিয়ন্ত্রকরা তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে নাম প্রত্যাহার করার জন্য দিদি’র শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবারই দিদি'র বোর্ড মার্কিন শেয়ার বাজার থেকে নাম প্রত্যাহার এবং হং কংয়ে তালিকাভুক্তির পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্র জানিয়েছে রয়টার্সকে।
গত জুন মাসে চীনা কর্মকর্তারা গোটা বিষয়টি পর্যালোচনার কথা বলে দিদিকে মার্কিন শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্তির বিষয়টিতে অপেক্ষা করার কথা বলেছিল। দিদি সেটি অগ্রাহ্য করেই ৪৪০ কোটি ডলারের আইপিও নিয়ে এগিয়ে যায়।
এর পরপরই ক্ষমতাধর সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না (সিএসি) দ্রুত অ্যাপ স্টোরগুলিকে দিদির ২৫টি মোবাইল অ্যাপ অপসারণের নির্দেশ দেয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনস্বার্থের কথা উল্লেখ করে সংস্থাটিকে নতুন ব্যবহারকারীদের নিবন্ধন বন্ধ করতে বলে।