চিপ সঙ্কটেই আরটিএক্স ২০৬০ জিপিইউ আপডেট করলো এনভিডিয়া

চলতি বছরের শুরুতেই গেইমারদের জন্য স্বল্প মূল্যে পুরনো মডেলের জিপিইউ-এর আরও উন্নত সংস্করণ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এনভিডিয়া। সেই প্রতিশ্রুতির আংশিক হলেও পূরণ করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। শিগগিরই বাজারে আসছে ১২ জিবি’র আরটিএক্স ২০৬০ জিপিইউ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 11:19 AM
Updated : 2 Dec 2021, 11:19 AM

করোনাকালীন চিপ সঙ্কটকে আরও প্রকট আকার দেওয়ার পেছনে ক্ষেত্রবিশেষে দায়ী করা হয় ক্রিপ্টোমাইনারদের। করোনার প্রাদুর্ভাবে একদিকে বিকল হয়ে পড়া সরবরাহ ব্যবস্থা, অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সির উর্ধ্বমুখী বাজার থেকে দ্রুত মুনাফা কামাইয়ে আগ্রহী ক্রিপ্টোমাইনারদের যন্ত্রাংশ চাহিদার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা। দাম বেড়ে গিয়েছিল জিপিইউ ইউনিটগুলোর।

এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসে এনভিডিয়া গেইমার এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পুরনো মডেলের জিপিইউ-এর আরও উন্নত সংস্করণ বাজারজাত করবে তারা। প্রতিষ্ঠানটির আশা, ক্রিপ্টোমাইনারদের নজর পড়বে না ওই জিপিইউগুলোর উপর।

সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে আরটিএক্স ২০৬০ জিপিইউ-এর ১২ জিবি ভিডিও র‌্যাম সংস্করণ বাজারজাত করতে যাচ্ছে এনভিডিয়া। ৭ ডিসেম্বর প্রযুক্তি পণ্যের বৈশ্বিক বাজারে অভিষেক হবে জিপিইউটির। ২০১৯ সালে বাজারে আসা জিপিইউটির প্রথম সংস্করণে  র‌্যাম ছিল ছয় জিবি।

কনফিগারেশন বিবেচনায় আরটিএক্স ২০৬০ সুপারের সঙ্গে নতুন ১২ জিবি সংস্করণে কিছু মিল রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। জিপিইউটির বেইজ ক্লকের গতি বেড়েছে আংশিক, কুডা (CUDA) কোরের সংখ্যা বেড়ে ১৯২০ কোর থেকে হয়েছে ২১৭৬ কোর।  

ছবি: এনভিডিয়া

১২ জিবি’র ‘আরটিএক্স ২০৬০ ফাউন্ডার্স এডিশনের বিক্রয়মূল্য কতো হবে, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও দেয়নি এনভিডিয়া। তবে ভার্জকে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “এটি আরটিএক্স ২০৬০ ছয় জিবি’র প্রিমিয়াম সংস্করণ এবং দামেও এর প্রতিফলন হবে বলে আশা করছি।” ২০১৯ সালে আরটিএক্স ২০৬০ ছয় জিবি সংস্করণ যখন বাজারে আসে, তখন এর বিক্রয়মূল্য ছিল ৩৪৯ মার্কিন ডলার।

ভার্জ বলছে, বর্তমান বাজারের উচ্চ-গ্রাফিক্সের গেইমগুলোর জন্য হয়তো সেরা জিপিইউ হবে না আরটিএক্স ২০৬০’র ১২ জিবি সংস্করণ। তবে ১০৮০ পিক্সেল রিজুলিউশন বা মাঝারি গ্রাফিক্সে বেশিরভাগ গেইম ঠিকঠাক চলবে জিপিইউটিতে।

বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব পড়েছে প্রযুক্তি পণ্য ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশের বাজারেও। আনকোড়া নতুন কিছু ‍না হয়েও কনসোল আর গ্রাফিক্স কার্ডের মতো পণ্যের চাহিদা এখনও আকাশচুম্বী। অন্যদিকে আরটিএক্স ৩০-সিরিজের জিপিইউগুলোকেও বিবেচনা করা হয় প্রিমিয়াম পণ্য হিসেবে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক দামে পছন্দ বা প্রয়োজন মতো জিপিইউ কেনা বেশ কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য।

এক্ষেত্রে পুরনো মডেলের জিপিইউ-এর নতুন সংস্করণ প্রিমিয়াম দামে বাজারজাত করলে, বাজার পরিস্থিতির উপর আদৌ কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।