এ বিষয়ে প্যানাসনিক বাড়তি আর কোনো তথ্য না দিলেও জাপানি প্রকাশনা মাইনিচি এবং এনএইচকে’র দাবি, অনুপ্রবেশের ঘটনা জুনের ২২ তারিখে শুরু হয়ে নভেম্বরের তিন তারিখে শেষ হয়েছে।
এনএইচকের প্রতিবেদন বলছে, আক্রমণের শিকার সার্ভারে প্যানাসনিকের ব্যবসায়িক অংশীদার ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষিত ছিল।
অন্যদিকে, প্যানাসনিক জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ এক তদন্তের ফলে তারা জানতে পেরেছে যে এ ঘটনায় “এক ফাইল সার্ভারে সংরক্ষিত কিছু ডেটায়” অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।
“অনঅনুমোদিত প্রবেশ শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান এ ঘটনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে, এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত পাল্টা ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে। এর মধ্যে নেটওয়ার্কে বাহ্যিক প্রবেশ ঠেকানোর মতো পদক্ষেপগুলোও ছিল।” – যোগ করেছে প্যানাসনিক।
নিজস্ব তদন্তের বাইরেও তৃতীয় পক্ষীয় সংস্থার বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেছে জাপানি এ্ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানটি। মূলত প্যানাসনিক ত্রুটি নিয়ে তদন্ত করছে এবং জানার চেষ্টা করছে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য বা সামাজিক কাঠামো সম্পর্কিত অন্যান্য স্পর্শকাতর তথ্য বেহাত হয়েছে কি না।
সাইবার আক্রমণ কেন্দ্রিক এক সুরক্ষা পরিচালনা কেন্দ্র তৈরিতে সাইবার সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির সঙ্গে এ বছরের মার্চেই এক চুক্তিতে এসেছে প্যানাসনিক।
সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ সম্পর্কে প্যানাসনিক জাপানি মাইনিচি প্রকাশনাকে বলেছে, “এটি আমাদের ব্যবসা বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে কি না তা আমরা অনুমান করতে পারছি না। তবে, আমরা গুরুতর একটি ঘটনার সম্ভাব্যতাকে অস্বীকার করতে পারি না।”