“আমরা এখন একশ’ প্রোটোটাইপ রোবটের একটি ঝাঁক পরিচালনা করছি যেগুলো নিজ উদ্যোগে আমাদের অফিসের বিভিন্ন কাজে অংশ নিচ্ছে।”-- এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন ‘এভরিডে রোবট’-এর শীর্ষ কর্মকর্তা হানস পিটার ব্রন্ডো।
“যে রোবটগুলো আগে আবর্জনা পরিষ্কার করতো সেগুলো এখন ট্যাবলেট মুছে রাখতে পারবে; কাপ ধরতে যে গ্রিপার ব্যবহৃত হতো সেই গ্রিপার দিয়েই এখন দরজা খোলা শিখতে পারবে।”-- যোগ করেন ব্রন্ডো।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ বলছে, গুগলের এই রোবটগুলো আদতে ‘আর্মস অন হুইলস’; রোবটের মূল শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত যান্ত্রিক হাতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ‘মাল্টিপারপাস গ্রিপার’। একটি ‘মাথা’ও আছে ওই রোবটের, ক্যামেরা আর সেন্সর ব্যবহার করে পারিপার্শিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে রোবটগুলো।
একই কাজ বারবার করতে হয়, এমন শিল্পখাতে অনেক আগেই সাফল্য পেয়েছে রোবটিক্স প্রযুক্তির ব্যবহার। কিন্তু রান্নাঘর পরিষ্কার করা বা কাপড় ভাঁজ করার মতো দৈনন্দিন জীবনের সহজ কাজ সম্পাদনে সক্ষম রোবট নির্মাণে এখনো পুরোপুরি সাফল্য পাননি গবেষকরা।
ভার্জ বলছে, নতুন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ গুছিয়ে ফেলা মানুষের জন্য সহজ হলেও ওই একই পরিস্থিতিতে একই কাজ রোবটগুলোকে দিয়ে করাতে বেগ পেতে হচ্ছে গবেষকদের। নতুন কোনো পরিস্থিতিতে অচেনা কোনো বস্তু কেন্দ্রিক কাজ রোবটগুলোর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়, আর এই সমস্যারই সমাধান করতে চাইছে অ্যালফাবেট।
তবে, রোবটিক্স প্রযুক্তি কেবল ল্যাবের গণ্ডির মধ্যে আটকে না রেখে, বাস্তব পৃথিবীতে এর কার্যক্ষমতা যাচাই করে দেখা এই প্রযুক্তির উন্নয়নে অগ্রগতি হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এধরনের রোবটিক্স প্রযুক্তি নিয়ে সমসাময়িক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে ‘প্রিপ্রোগ্রামড ডেমো’ দেখালেও অ্যালফাবেট পরীক্ষা চালাচ্ছে বাস্তব পৃথিবীতেই।