কেন পাইলোনেল – নামের ওই ব্যবহারকারী আদতে প্রকৌশল শিক্ষার্থী। অক্টোবরেই দেখিয়েছিলেন পরিবর্তিত ফোনটি। সারা বিশ্বেই আইফোন প্রেমীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছিল ঘটনাটি। কাজটি কীভাবে করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করে নভেম্বরের শুরুতে ভিডিও প্রকাশ করেন পাইলোনেল।
শুধু যন্ত্রাংশ পাল্টেই যে কাজটি করা যায়নি, তা বুঝা গেছে ওই ভিডিও দেখেই। অ্যাপলের সি৯৪ কানেক্টরকে ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ করার পাশাপাশি কাস্টম সার্কিটবোর্ড, টেস্ট এবং রুট সংযোগের নকল তৈরি করতে হয়েছে। এরপর আগে থেকেই পরিপূর্ণ কেইসে বসিয়েছেন ইউএসবি-সি যন্ত্রাংশকে।
বদলে দেওয়া মডেলটিকে নিলামে তোলা হয়েছিল ইবে-তে। দ্রুতই ৮৫ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায় দাম।
গিজমোডো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৮৬ হাজার এক ডলারে বিক্রি হয়েছে ফোনটি। সবমিলিয়ে নিলামে একশ’ ১৬টি দর হাঁকা হয়েছিল। এর অধিকাংশই হাঁকা হয় প্রথম তিন দিনের মধ্যে।
আইফোনটি যে ‘সচল’ সে ব্যাপার নিশ্চিত করেছেন পাইলোনেল। কিন্তু ডিভাইসটি রিস্টোর, আপডেট বা ইরেস করার ব্যাপারে আগেভাগেই সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক ডিভাইস হিসেবে আইফোনটিকে ব্যবহার করতেও মানা করেছেন বিক্রেতা।