ট্রিলিয়ন ডলারের পথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি ২০৩০ সাল নাগাদ এক ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। লাখো মানুষ অনলাইন কেনাকাটা ও খাবার সরবরাহের দিকে ঝুঁকেছেন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2021, 10:09 AM
Updated : 10 Nov 2021, 10:09 AM

গুগল এবং সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারী টেমাসেক হোল্ডিংস এবং বৈশ্বিক ব্যবসা পরামর্শক বেইন অ্যান্ড কোম্পানির তৈরি এক শিল্প প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে নতুন ছয় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন। ফলে মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটিতে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ১১টি দেশের এ অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান ইন্টারনেট বাজারের একটি। এর নেপথ্যে মূল কলকাঠি নাড়ছে দেশগুলোর তরুণ বয়সী জনসাধারণ। স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ছে, নগরায়ন হচ্ছে এবং মধ্যবিত্তের বিকাশ ঘটছে।

অনুমান অনুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনলাইন শিল্প ২০২১ সালের শেষের ‘গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভলিউম’ (জিএমভি) আনুমানিক ১৭ হাজার চারশ’ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ নাগাদ আনুমানিক ৩৬ হাজার কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। পরে ২০৩০ নাগাদ এটি এক লাখ কোটি ডলারের ঘর পৌঁছাবে বলে উল্লেখ রয়েছে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনের কথা বলা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে, বছরের শেষ নাগাদ ই-কমার্স জিএমভি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১২ হাজার কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। আর ২০২৫ নাগাদ এটি গিয়ে পৌঁছাবে ২৩ হাজার চারশ’ কোটি ডলারের ঘরে।

প্রতিবেদন যে কয়টি দেশের কথা বলা হয়েছে, তার প্রত্যেকটিই ২০২১ সালে দুই সংখ্যার প্রবৃদ্ধি দেখেছে। এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ এশিয়ার মোট সাত হাজার কোটি ডলার জিএমভি’তে ৪০ শতাংশ ভূমিকা রেখেছে।

শতকরা ৯৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ফিলিপাইন পরিণত হয়েছে এক হাজার সাতশ’ কোটি ডলারের বাজারে। “কোভিডের কারণে ভূ-স্থলীয় ভোক্তা ও ইকোসিস্টেম পরিবর্তন বেড়ে যাওয়ার এ সময়টিতে জিএমভি (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য) বছর-প্রতি-বছর বেড়েছে ৪৯ শতাংশ, বড় মাপে ডিজিটাল গ্রহণ উৎসারণও অব্যাহত রয়েছে।” – বলেছেন বেইন-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিজিটাল প্র্যাকটিস প্রধান ফ্লোরিয়ান হোপ।