বুধবার ঘটেছে ঘটনাটি। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, অ্যাজিউর ক্লাউড-কম্পিউটিং ব্যবসার বরাতে এ প্রান্তিকে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইক্রোসফটের। দিনশেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ৪.২ শতাংশ বেড়ে ৩২৩.১৭-এর ঘরে গিয়ে ঠেকেছিল। ফলে মার্কিন এ সফটওয়্যার নির্মাতার বাজার মূল্যমান গিয়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ৪২ হাজার ছয়শ’ কোটি ডলারে।
রেফিনিটিভের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের বর্তমান বাজার মূল্যমান দুই লাখ ৪৬ হাজার একশ’ কোটি ডলার।
বৃহস্পতিবার অ্যাপলের শেয়ার দর কমেছে ০.৩ শতাংশ। বৈশ্বিক সরবরাহ-চেইন কীভাবে প্রতিষ্ঠানটির আইফোনের চাহিদা পূরণে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করছে, তা নিয়েই আপাতত মনোযোগী বিনিয়োগকারীরা।
এ বছর মাইক্রোসফটের শেয়ার দর বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। মহামারীর কারণে প্রতিষ্ঠানটির ক্লাউড নির্ভর সেবার বিক্রি বেড়েছে। অন্যদিকে, অ্যাপলের শেয়ার দর এ বছর বেড়েছে ১২ শতাংশ।
শেয়ার বাজার মূল্যে ২০১০ সালে মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলে অ্যাপল। সে সময় আইফোনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম সারির ভোক্তা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় প্রতিষ্ঠানটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শেয়ার বাজারে সবচেয়ে মূল্যবান প্রতিষ্ঠান প্রশ্নেও প্রতিযোগিতা কম হয়নি। মার্কিন এ প্রযুক্তি জায়ান্ট ২০২০ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকেই সবচেয়ে মূল্যবান প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ধরে রেখেছে।
মঙ্গলবার শেষ ভাগে ক্লাউড ব্যবসার বরাত দিয়ে এ বছর দৃঢ় ব্যবসার মাধ্যমে শেষ হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে মাইক্রোসফট। তবে, সরবরাহ চেইনের কারণে মূল অনেক খাতে প্রভাব পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরকম খাতের মধ্যে রয়েছে সারফেস ল্যাপটপ ও এক্সবক্স গেইমিং কনসোল।