একটি “আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ” গড়তে এই চেষ্টাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ‘সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না’র প্রধান জিহুয়াং রংহুয়েন। বুধবার ‘স্টাডি টাইমস’ নামের এক সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে উঠে এসেছে চীনের শীর্ষ ইন্টারনেট নীতিনির্ধারকের এই মন্তব্য।
দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ’ কোটিরও বেশি এবং বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় “ডিজিটাল সোসাইটি”র উপস্থিতি রয়েছে চীনে।
উল্লেখ্য, ‘স্টাডি টাইমস’-এর প্রকাশক ‘সেন্ট্রাল পার্টি স্কুল’, ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উঠতি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয় স্কুলটি।
ইন্টারনেটের সহজ যোগাযোগের সক্ষমতাকে দলের কাজে লাগানো উচিত বলে মন্তব্য করে রংহুয়েন বলেন, “পার্টির উচিত উদ্ভাবনী তত্ত্বগুলোতে সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে” এটির ব্যবহার করা।
ভালো ‘রোল মডেল’-দের ইন্টারনেটে আরও গুরুত্ব পাওয়া উচিত এবং তরুণ ব্যবহারকারীদের ‘সাইবার বুলিইং’ এর বদলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আর ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও স্ব-শৃঙ্খল হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন রংহুয়েন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বেশ কয়েক বছর ধরে চীনের ইন্টারনেট খাতের অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার এবং হঠাৎ পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে দেশটির নীতিনির্ধারকরা সমাজ এবং সাইবারস্পেস উভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও কঠোর করতে চাইছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও সেবার উপর নানাভাবে চাপ বাড়িয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
সেপ্টেম্বর মাসে “সভ্য” ইন্টারনেট নির্মাণের নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে দেশটির স্টেট কাউন্সিল। আর তাতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবস্থা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি এবং এর অর্জন নিয়ে শিক্ষা দিতে ব্যবহৃত হওয়া উচিত।