জুনে প্রথমবারের মতো অ্যাফিলিয়েট শপস সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিল ইনস্টাগ্রাম। সে সময় অনুষ্ঠিত ‘ক্রিয়েটর উইক’ আয়োজনে তুলে ধরেছিল ফিচারটিকে।
ফেইসবুকের বিদ্যমান শপিং ফিচারের বর্ধিত সংস্করণ অ্যাফিলিয়েট শপস। নির্মাতারা ‘অ্যাফিলিয়েট’ অংশীদারদেরদের পণ্য নিজ ভার্চুয়াল বিক্রয়কেন্দ্রে যোগ করতে পারবেন। অনুসারীরা সেখান থেকে পণ্য কিনলে কমিশন পাবেন নির্মাতারা।
ইনস্টাগ্রাম জানিয়েছে, আপাতত শুধু অ্যাফিলিয়েট কর্মসূচীর সঙ্গে জড়িত নির্মাতারাই শপিং ফিচারটি পাচ্ছেন।
ভারতীয় বিজনেস-স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন বলছে, নতুন ইনবক্স ফিচারও পরীক্ষা করে দেখছে ছবি শেয়ারিং সাইটটি। তাদের ভাষ্যে, এটি ‘স্পন্সরশিপের’ জন্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে নির্মাতাদের যোগাযোগকে আরও সহজ করবে।
ব্র্যান্ডের কাছ থেকে মেসেজ পাওয়ার জন্য নিবেদিত “অংশীদার” বিভাগের দেখা মিলবে ফিচারটিতে। ইনস্টাগ্রাম জানিয়েছে, তারা এ ধরনের মেসেজকে “অগ্রাধিকার অবস্থান” দেবে এবং “রিকোয়েস্ট” সেকশন এড়াতে দেবে। কারণ অনেক সময়েই ওই অংশে মেসেজ হারিয়ে যায়।
এগুলোর বাইরেও ভিন্ন কিছু টুল নিয়ে কাজ করছে ইনস্টাগ্রাম। ওই টুলগুলো নির্মাতাদেরকে স্পন্সরশিপের জন্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ে দেবে। সরাসরি অ্যাপ থেকেই কোন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে চান, তা শনাক্ত করতে পারবেন নির্মাতারা। অন্যদিকে, বয়স, লিঙ্গ ও অনুসারী সংখ্যার ভিত্তিতে নির্মাতাদের খুঁজে বের করতে পারবে ব্র্যান্ডরা।
টুলগুলো এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে। গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতারা এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে যে ফিচারগুলোর ব্যবহার বাড়তে পারে, সে ব্যাপারে আগেভাগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে ইনস্টাগ্রাম।