২০২৪ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে যানটিকে বিক্রি করতে চাইছে এআইআর। প্রতিষ্ঠানটি দুই বছর ধরে ‘ইউএস ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি’র (এফএএ) সঙ্গেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যাশা করছে, নিজেদের দুই সিটের ‘এয়ার ওয়ান’ বাহনটির জন্য ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এফএএ’র কাছ থেকে সনদ পাওয়ার।
এয়ার ওয়ানের ওজন হবে সাকুল্যে নয়শ’ ৭০ কেজি, ফ্লাইট পরিসীমা হবে প্রায় পৌনে দু’শ কিলোমিটার, - জানিয়েছেন এআইআর প্রধান রানি প্লাউট। গত বছর এক কোটি ডলারের বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে ইসরায়েলি এ স্টার্টআপটি। নিজ যানের মানুষবিহীন চালনাও পরীক্ষা করেছে একাধিকবার।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ইভিটিওএল বা আনুভূমিকভাবে উঠতে ও নামতে পারবে এমন আকাশযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বহু স্টার্টআপ কাজ করছে। বহু বিনিয়োগকারী এবং প্রতিষ্ঠানও ভীড় জমাচ্ছে। তবে, এখনও অনুমোদন পায়নি এ খাতটি।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এআইআর-এর পার্থক্য তুলে ধরতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জানিয়েছেন, পুরোপুরি প্রশিক্ষিত পাইলট না হয়েও তাদের “ফ্লাই বাই ইন্টেন্ট” সফটওয়্যার ব্যবহার করে উড়ুক্কু যানটি চালানো যাবে, এবং এ ধরনের ভোক্তাই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।
“আমাদের মনোযোগ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আমরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের কথা বলছি না, আমরা বলছি মানুষ গাড়ির মতো করে এটি ব্যবহার করবে।” – বলেছেন প্লাউট।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অনেকটা উন্মুক্ত আকাশ পথ রয়েছে, সে জন্যই এয়ার ওয়ানের জন্য দেশটি উপযুক্ত। উড়ুক্কু যানের চাহিদা এক বছরে ১৫ হাজারে গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও আশা করছে এআইআর।
বর্তমানে ইসরায়েলি এ প্রতিষ্ঠানটি এফএএ সনদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাড়তি তহবিল সংগ্রহ করছে। কিন্তু সে অর্থের অঙ্ক সম্পর্কে কিছু জানায়নি।