ছবিভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট প্রথমে অল্প বয়সীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এআর দিয়ে। প্রাথমিক পর্যায়ের এআর ছিল সেগুলো। যেমন- কারো ছবিতে কুকুরের কান বসিয়ে দেওয়া বা নাচতে থাকা হটডগকে ভিডিওতে জুড়ে নেওয়া ইত্যাদি।
স্ন্যাপ ওই সময় থেকেই প্রযুক্তিগুলোর উন্নয়নে কাজ করছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। প্রতিষ্ঠানটি এরপর পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এআর নির্ভর পরিধেয় পণ্যের সঙ্গে। এ ছাড়াও ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়ালি কাপড় পরে দেখতে পারবেন এমন প্রযুক্তির নির্মাতা স্টার্টআপ-ও কিনেছে তারা।
স্ন্যাপের সৃজনশীল কৌশলের বৈশ্বিক প্রধান জেফ মিলার বলছেন, তাদের নতুন স্টুডিও ‘আর্কেডিয়া’ শুধু স্ন্যাপচ্যাটের জন্যই নয়, অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে যেখানে বিজ্ঞাপনটি দেখা যাবে, সেখানকার জন্যও এআর অভিজ্ঞতা তৈরি করে দিতে পারবে।
“লক্ষ্য হলো এআর-এর সম্ভাব্যতার সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়া।” – বলেছেন মিলার।
এরই মধ্যে কিছু গ্রাহকও পেয়ে গেছে স্ন্যাপের নতুন ওই বিজ্ঞাপন স্টুডিও। প্রথম গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে, প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল (পিঅ্যান্ডজি), ভেরাইজন কমিউনিকেশনস এবং বিনোদন প্রতিষ্ঠান ডব্লিউডব্লিউই। আগামীতে এ ব্র্যান্ডগুলোর এআর কর্মকাণ্ড ও কৌশলের দায়িত্ব পালন করবে স্ন্যাপের আর্কেডিয়া স্টুডিও।
স্ন্যাপের বিভাগ হিসেবেই পরিচালিত হবে আর্কেডিয়া। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রকল্প ভিত্তিক সক্ষমতায় কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মশালার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও বিজ্ঞাপন সংস্থাকে পরামর্শ দেওয়ার কাজও করবে প্রতিষ্ঠানটি।
আর্কেডিয়ার হাল কে ধরছেন, তা জানা যাবে আসন্ন সপ্তাহগুলোয়। গোটা বিভাগে আগামী মাসগুলোতে ২৫ থেকে ৫০ জন কর্মী দেখা যাবে বলেও ধারণা রয়েছে।
সোমবার ফাস্ট-ফুড-চেইন ‘শেক শ্যাক’-এর সঙ্গে মিলে নিজেদের প্রথম এআর প্রকল্প উন্মোচন করেছে আর্কেডিয়া। নিউ ইয়র্কে শেক শ্যাকের এক রেস্তোরাঁয় হয়েছিল আয়োজনটি।
দর্শনার্থীরা রেস্তোরাঁয় গিয়ে স্ন্যাপচ্যাট অ্যাপ খুলে বিশেষ একটি কোড স্ক্যান করেছেন। পরে ওই কোড ব্যবহার করে ফোনে ‘স্ন্যাপ শ্যাক’ ব্র্যান্ডের কাপড় ও বিভিন্ন পণ্য কিনতে পেরেছেন। আবার ফোনের মাধ্যমে রেস্তোরাঁয় হটডগ, চিজবার্গার ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাইকে নাচতেও দেখেছেন।