এ প্রসঙ্গে জুক্স সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেসে লেভিনসন জানিয়েছেন, দুটি কারণে পরীক্ষার ভূমি হিসেবে সিয়াটলকে বেছে নিয়েছেন তারা। প্রথম কারণটি হলো স্থানীয় প্রকৌশল মেধাকে আকর্ষণ করা – “সিয়াটল কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের জন্য বেড়ে উঠার স্থান।” – মন্তব্য করেন তিনি। আর দ্বিতীয় কারণটি হলো সিয়াটলের পরিচিত বৈরী আবহাওয়া।
“সিয়াটলের আবহাওয়াও অনেক বড় একটি কারণ। জুক্স গাড়িকে খারাপ আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা করা এবং সেন্সরে পানির কী প্রভাব পড়ে তা দেখা হবে।” – বলেছেন লেভিনসন।
অতীতে বৃষ্টি ও তুষারে স্ব-চালনা প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। রোবোট্যাক্সি নামানোর বদলে জুক্স বিশেষভাবে তৈরি টয়োটা হাইল্যান্ডার নামাবে সিয়াটলের রাস্তায়। গাড়িগুলোতে প্রতিষ্ঠানের সেন্সর এবং স্ব-চালনা সফটওয়্যার থাকবে।
“শান্ত সমুদ্র কখনও দক্ষ নাবিক তৈরি করতে পারে না, এবং আমাদের প্রযুক্তির বেলায়ও একই নীতি খাটে।” – প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে জানিয়েছেন জুক্সের ভবিষ্যদ্বাণী পরিচালক কাই ওয়াঙ।
“সিয়াটল এলাকার চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে নিজ সফটওয়্যার স্ট্যাক শানাতে দেবে এবং দিনশেষে আমাদের গাড়ির কার্যক্রম উন্নত করতে দেবে।” – যোগ করেছেন তিনি।
অ্যামাজন ২০২০ সালে জুক্সকে একশ’ ২০ কোটি ডলারের বিনিময়ে কিনেছিল। লেভিনসন মার্কিন বাণিজ্য সাময়িকী ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, জুক্স অ্যামাজনের তুলনায় “অত্যন্ত স্বাধীন”। “আমরা সেখানকার লোকদের সঙ্গে সময় কাটানোর অপেক্ষায় থাকি।” – বলেছেন তিনি।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, সিয়াটলে নিজস্ব অফিস বসাবে জুক্স।
জুক্স এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া ও লাস ভেগাসের রাস্তায় নিজ প্রযুক্তি পরীক্ষা করেছে। গত সপ্তাহে লাস ভেগাসের ছয় লেনের রাস্তায় নিজেদের চালকবিহীন গাড়ি চলার ভিডিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।