ফোকসভাগেনের আয়োজনে হাজির হলেন টেসলা প্রধান মাস্ক

সম্প্রতি ফোকসভাগেনের এক আয়োজনে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। সেখানে দুইশ’ ফোকসভাগেন নির্বাহীর উদ্দেশ্যে কথা বলেছেন তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2021, 11:35 AM
Updated : 17 Oct 2021, 11:35 AM

ফোকসভাগেন প্রধান হার্বার্ট ডিয়াজের আমন্ত্রণেই ওই আয়োজনে যোগ দেন টেসলার কর্ণধার।

নিজ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির পরিবর্তনের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতেই উদ্যোগটি নিয়েছিলেন ডিয়েজ। শনিবার টুইটারে মাস্কের উপস্থিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি।

জার্মান সংবাদমাধ্যম হ্যান্ডেলসব্লাট ডেইলি’র এক প্রতিবেদনে ফোকসভাগেনকে “আইকন” আখ্যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি টেসলার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ডিয়েজের মতেও, বিশ্বে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি খাতে আধিপত্য বিস্তারে টেসলার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে ফোকসভাগেন।

টেসলা কীভাবে নিজ প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এতো ছিমছাম, সে ব্যাপারে আয়োজন চলাকালে মাস্কের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ফোকসভাগেন প্রধান।

উত্তরে মাস্ক জানান, এটি তার ব্যবস্থাপনার ধরন। এ ছাড়াও তিনি একজন প্রকৌশলী, ফলে সরবরাহ চেইন, লজিস্টিকস এবং উৎপাদনের দিকে নজর থাকে তার।

মাস্ককে ‘সারপ্রাইজ গেস্ট’ হিসেবে অনুষ্ঠানে আনা হয়েছিল বলে লিংকডইনের এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন ডিয়াজ। ফোকসভাগেন প্রধানের মতে, তারা এখন নিজ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং এ সময় তাদের প্রয়োজন আরও দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং কম আমলাতান্ত্রিকতা। এ বিষয়টিই মাস্ককে অনুষ্ঠানে আনার মধ্য দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি।

“শুনে ভালো লেগেছে যে, আমাদের সবচেয়ে দৃঢ় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে যদি পূর্ণ শক্তিতে রূপান্তর চালিয়ে যাই, তাহলে আমরা এ রূপান্তরে সফল হবো।” – লিংকডইনে লিখেছেন ডিয়াজ।

টেসলার ক্ষমতার উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিয়াজ উল্লেখ করেন, চিপ সংকটে ফুরিয়ে যাওয়া মাইক্রোচিপ থেকে সরে এসে অন্যটি ব্যবহার করার জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহে নতুন করে সফটওয়্যার লিখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার এক টুইট বার্তায় ডিয়েজ জানিয়েছেন, টেসলার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবে ফোকসভাগেন। “শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে গ্রুয়েনহেইডে,” – লিখেছেন তিনি।

টেসলা পরিকল্পনা অনুসারে জার্মানির গ্রুয়েনহেইডে কারখানা খুললে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে টেক্কা দিতে স্থানীয় গাড়ি নির্মাতাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। - গত মাসে এমন সতর্কবার্তাই জানিয়েছিলেন এ প্রধান নির্বাহী।

টেসলা বর্তমানে জার্মান ওই সাইটের চূড়ান্ত নির্মাণ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর খরচ গিয়ে দাঁড়াবে ছয়শ’ ৮০ কোটি ডলারের ঘরে। সব ঠিক থাকলে এটিই হবে ইউরোপে টেসলার প্রথম কারখানা।

অন্যদিকে, পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত গতিশীলতায় আসার অংশ হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ ছয়টি বড় ব্যাটারি নির্মাণ কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করেছে ফোকসভাগেন।