ড্রপ টেস্ট: নোকিয়া ৩৩১০-এর চেয়েও ‘টেকসই’ আইফোন ১৩ প্রো

নোকিয়া ৩৩১০ ফোনটি যে যথেষ্ট টেকসই সেটা প্রায় সবাই জানেন। অনলাইনে এ নিয়ে রয়েছে বহু মিম। অনেকে তো মজা করে বলেন, ফোনটিকে ভাঙাই সম্ভব নয়। এবার সে ফোনকেই ড্রপ টেস্টে হার মানালো অ্যাপলের আইফোন ১৩ প্রো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2021, 08:09 AM
Updated : 17 Oct 2021, 08:09 AM

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, পাথুরে নকশার শক্তপোক্ত নোকিয়া ৩৩১০ মডেলটিকে হার মানতে হচ্ছে কাঁচ ও স্পর্শকাতর উপাদানের তৈরি আইফোন ১৩ প্রো –এর কাছে - এটা বিস্মিত করে দেওয়ার মতোই খবর। কিন্তু এ বিষয়টি হাতেকলমে প্রমাণ করে দিয়েছেন ইউটিউবার ‘টেকর‌্যাক্স’।

নিজ পরীক্ষায় আইফোন ১৩ প্রো ও নোকিয়া ৩৩১০ মডেলকে সিঁড়ির কয়েক ‘ফ্লাইট’ উপর থেকে ফেলেছেন টেকর‌্যাক্স। এ সময় আইফোনের গায়ে অ্যাপলের ‘ট্রান্সপারেন্ট প্লাস্টিক কেস’ থাকলেও নোকিয়া ৩৩১০-এর কোনো কেস ছিল না।

সিঁড়ির ফ্লাইট সাধারণত বেশ অনেকগুলো ধাপ মিলে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভবনের এক তলা থেকে অপর তলায় যেতে সিঁড়িতে দুটি বা চারটি ফ্লাইট পেরোতে হয়। একটি ফ্লাইটের পর সাধারণত মেঝে অথবা ল্যান্ডিং বা দাঁড়ানোর স্থান থাকে।

শুরুতে ধারণা ছিল, টিকে যাবে নোকিয়া ৩৩১০, হারবে আইফোন ১৩ প্রো। কিন্তু সে ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে তিনবার ফেলার পরও বহাল তবিয়তে চলতে থাকে আইফোন।

অন্যদিকে, নোকিয়া ৩৩১০ প্রথমবার পড়ার ধাক্কাই সামাল দিতে পারেনি। খুলে আসে ফোনটির বিভিন্ন অংশ। বলা চলে প্রায় টুকরো টুকরো হয়ে যায় ফোনটি। প্রথম চোটেই আলাদা হয়ে গিয়েছিল ফোনটির কিপ্যাড, ফ্রেম, মাদারবোর্ড ও ব্যাটারি। সে তুলনায় অক্ষত ছিল আইফোন।

প্রথমবার পড়ার পর শুধু আইফেোনের পেছনের গ্লাসটি ভেঙে যায়। ফোনটি ফেলার সময় ভিডিও চালু করে দেওয়া হয়েছিল। সেটি পড়ার পরও চালুই ছিল। দ্বিতীয় ধাপে আরও ফাঁটতে দেখা গেছে পেছনের কাঁচকে। এ সময় নতুন করে ডিসপ্লের কোণায় ফাঁটল ধরতে দেখা গেছে। তৃতীয় বারে পেছনের গ্লাস উঠে আসতে শুরু করে এবং ডিসপ্লের কাঁচে ফাঁটল আরও বিস্তৃত হয়।

তবে, তিনবার পড়ার পরও ঠিকমতোই চলছিল ফোনটি। ক্যামেরা কাজ করছিল স্বাভাবিকভাবেই। এমনকি ডিসপ্লেও কাজ করছিল, টাচ ইনপুটেও কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। 

তিনটি ড্রপেই আইফোন ১৩ প্রোয়ের গায়ে ছিল অ্যাপলের নতুন সিরামিক শিল্ড। পরীক্ষায় এটিও ভালোই করেছে। পরিস্থিতি হয়তো আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্সের ক্ষেত্রেই পাল্টে যেতো। কারণ ওই ফোনের কেসিং আরও বড় এবং পৃষ্ঠও বিশাল। অন্যদিকে, আইফোন ১৩ ও আইফোন ১৩ মিনির অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমও হয়তো টিকতো না এ ড্রপ টেস্টে। প্রো মডেলের বডিতে স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করেছে অ্যাপল।