টুইচ জানিয়েছে, সার্ভার কনফিগারেশন পরিবর্তনজনিত এক ত্রুটির কারণেই ডেটা বেহাতের ঘটনাটি ঘটেছে, এবং এর প্রভাব এখনও খতিয়ে দেখছে তারা।
বুধবার প্রথমে এক অজ্ঞাতনামা হ্যাকার টুইচের ডেটা ফাঁস করেছেন বলে দাবি করেন। পরে জানা যায়, ফাঁস হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানের সোর্স কোড, গ্রাহক তালিকা এবং অপ্রকাশিত গেইমসহ নানাবিধ তথ্য।
সবার আগে খবরটি প্রকাশ করেছিল ‘ভিডিও গেইমস ক্রনিকল’ নামের সাইটটি।
ব্যবহারকারীদের লগইন তথ্য ফাঁস হয়েছে এমন কোনো আভাস মেলেনি বলেই জানিয়েছে টুইচ। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, পরিপূর্ণ ক্রেডিট কার্ড বিস্তারিত সংরক্ষণ করে না তারা।
সবমিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১২৫ গিগাবাইট ডেটা ফাঁস হয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। ফাঁস হওয়া ডেটার মধ্যে টুইচের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ভিডিও গেইম স্ট্রিমারদের আর্থিক তথ্যও রয়েছে।
সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ কেভিন ব্যোম্যঁ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, “টুইচ ফাঁসের ঘটনা বাস্তব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের ব্যক্তিগত ডেটা রয়েছে।”
টুইচের প্রতিদিনের গড় ভিজিটরের সংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। সঙ্গীতশিল্পী ও ভিডিও গেইমারদের মধ্যে প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চালাতে পারেন কন্টেন্ট নির্মাতারা।
হয়রানি ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ বছরের শুরুর দিকে প্ল্যাটফর্মটিকেও বয়কট করেছিলেন ব্যবহারকারীরা।
সম্প্রতি আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফেইসবুকও নিজেদের বিভ্রাটের জন্য ‘ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশন পরিবর্তনকে’ দায়ী করেছে। এ সপ্তাহেই প্রায় ছয় ঘণ্টা বিভ্রাট কাটিয়ে অনলাইনে ফিরতে হয়েছে ফেইসবুককে। ওই সময়টিতে তাদের কোনো সেবাতেই প্রবেশ করতে পারেননি গোটা বিশ্বের সাড়ে তিনশ’ কোটি ব্যবহারকারী।