আইওএস ১৫ এর আগে অ্যাপভিত্তিক প্রতারণা নিয়ে রিপোর্ট করতে বাড়তি ঝামেলার মুখোমুখি হতে হতো অ্যাপল ব্যবহারকারীদের। প্রথমে অ্যাপ স্টোরের অ্যাপ বা গেইম ট্যাবের একবারে নিচে গিয়ে বাটনটিকে খুঁজে বের করতে হতো। তারপর বাটনে চাপলে এক ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হতো ব্যবহারকারীদের, সেখান থেকে আবারও সাইন-ইন করতে হতো তাদের।
এরপর সামনে কয়েকটি অপশন পেতেন ব্যবহারকারীরা। যেমন- ‘রিপোর্ট সাসপিশাস অ্যাক্টিভিটি’ বা ‘সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জানান’, ‘রিপোর্ট আ কোয়ালিটি ইস্যু’ বা ‘মান সম্পর্কিত সমস্যার ব্যাপারে অভিযোগ’, ‘রিকোয়েস্ট আ রিফান্ড’ বা ‘অর্থ ফিরে পেতে অনুরোধ’ এবং ‘ফাইন্ড মাই কন্টেন্ট’। কিন্তু এর কোনোটিই ঠিক পরিষ্কারভাবে জালিয়াতি বা প্রতারণার অভিযোগ করতে দেয় না বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ।
এ ছাড়াও অ্যাপল ‘রিপোর্ট আ কোয়ালিটি ইস্যু’ অপশনে শুধু অর্থমূল্যের বিনিময়ে কেনা অ্যাপের ব্যাপারে অভিযোগ করা যেতো। আর ‘রিপোর্ট সাসপিশাস অ্যাক্টিভিটিতে’ ক্লিক করলে ‘অ্যাপল সাপোর্ট’ –এ নিয়ে যাওয়া হতো ব্যবহারকারীদেরকে।
এখন আর সে সমস্যা থাকছে না। ইন-অ্যাপ পারচেজ ফিচার আছে এমন সব বিনামূল্যের অ্যাপেও পাওয়া যাচ্ছে ‘রিপোর্ট আ প্রবলেম’ অপশনটি। তবে, এখনও অ্যাপ স্টোরের বাইরে ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যবহারকারীদের এবং সেখানে তাদের সাইন ইন করতে হচ্ছে। তারপরও গোটা বিষয়টিকে “এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া হিসেবেই দেখছে” ভার্জ।
সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি রয়ে যাচ্ছে, তা হলো – অ্যাপল আদৌ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেবে কি না। সেপ্টেম্বর মাসে ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, অ্যাপলের মানব অ্যাপ পর্যালোচকের সংখ্যা মাত্র পাঁচশ’ জন। অন্যদিকে ফেইসবুকের কন্টেন্ট মডারেটরের সংখ্যা ১৫ হাজার, গুগলের ২০ হাজার এবং টুইটারের দুই হাজার দুইশ’।