আগ্নেয়গিরির শক্তিতে বিটকয়েন মাইনিং শুরু এল সালভাদরে!

আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপাদিত শক্তি বিটকয়েন মাইনিংয়ে ব্যবহার করছে এল সালভাদর। এ প্রক্রিয়ায় ০.০০৫৯৯১৭৯ বিটকয়েন বা ২৬৯ ডলার মাইন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি খবরটি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2021, 10:29 AM
Updated : 2 Oct 2021, 10:29 AM

সেপ্টেম্বরের সাত তারিখ থেকে এল সালভাদরে সরকার স্বীকৃত অনুমোদিত মুদ্রা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে বিটকয়েন। হিসেবে ‘বৈধ টোকেন’ বিটকয়েনের প্রচলন করা বিশ্বের প্রথম দেশ এটি।

গত সপ্তাহে টুইটারে ২৫ সেকেন্ডের এক ভিডিও প্রকাশ করেছেন এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, বিটকয়েন মাইনিং যন্ত্রাংশে পরিপূর্ণ সরকারি মোহর লাগানো শিপিং কনটেইনার। পাশাপাশি, কারিগরি লোকদের দেখা গেছে এএসআইসি মাইনার সংযুক্ত করতে ও ইনস্টল করতে। এ ছাড়াও আগ্নেয়গিরির পাদদেশে অরণ্যের মধ্যে থাকা এনার্জি ফ্যাক্টরিও উঠে এসেছে হয়েছে ভিডিওতে।

 

ভিডিওটি দেখা হয়েছে ২৩ লাখ বারেরও বেশি। ক্যাপশনে শুধু লেখা “প্রথম ধাপগুলো…”। এর আগে জুনে বুকেলে বলেছিলেন, “আমাদের আগ্নেয়গিরি থেকে সস্তা, শতভাগ পরিষ্কার, শতভাগ পুনঃব্যবহারযোগ্য বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য স্থাপনা গড়ার পরিকল্পনা তৈরি” করতে বলেছি” রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভূ-তাপীয় বৈদ্যুতিক প্রতিষ্ঠান ‘লাজিও এসএ ডে সিভি’ –কে।

মাইনিং প্রকল্পটি যে এখনও চলমান সে দিকেও ইঙ্গিত করে শুক্রবার এক টুইট করেছেন বুকেলে। তিনি উল্লেখ করেছেন, তারা এখনও নতুন মাইনিং যন্ত্রাংশ “পরীক্ষা ও ইনস্টল” করছেন।

বিটকয়েন মাইনিংয়ে আগ্নেয়গিরি থেকে পাওয়া তাপের ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে আগে থেকেই। এ প্রসঙ্গে বিটকয়েন মাইনার আলেহান্দ্রো দে লা টরে বলেছেন, “এটি শুধু ভূ-তাপীয় শক্তি। বিটকয়েন মাইনিংয়ের একদম শুরু থেকে এটি করে আসছে আইসল্যান্ড।”

এল সালভাদরকে বলা হয় “আগ্নেয়গিরি ভূমি”। অফিশিয়াল ডেটা অনুসারে, দেশটির শক্তি উৎপাদনের প্রায় এক চতুর্থাংশে ভূমিকা রাখছে ভূ-তাপীয় শক্তি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি বলছে, বিটকয়েন মাইনিংয়ের কার্বন নিঃসরণ সমস্যার জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে এল সালভাদরের পদক্ষেপটি।

“শুধু বিটকয়েনের কারণেই পরিপূর্ণ পুনঃব্যবহারযোগ্য, অব্যবহৃত শক্তির উৎস কাজে লাগানো হয়েছে। ইতিহাসে পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তি উন্নয়নে সবচেয়ে বড় নিয়ামকই হলো বিটকেয়েন।” – বলছেন বিটকয়েন মাইনিং প্রকৌশলী ব্র্যান্ডন আর্ভানাঘি।