মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবম সার্কিট কোর্টের আপিল শুনানিতে চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখবে এপিক গেইমস। আদালতের নথি অনুযায়ী, অ্যাপল পাল্টা বক্তব্য দেবে ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি। আপিল প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে অ্যাপ স্টোরে ফোর্টনাইট কালো তালিকাভূক্ত করা প্রসঙ্গে টু্ইটারে মুখ খুলেছেন সুইনি। টেক জায়ান্টে বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নিজস্ব টুইটে লিখেছেন, “এটি অ্যাপলের আরেকটি অসাধারণ অপ্রতিযোগিতাসুলভ আচরণ, বাজারে পরিবর্তন আনা এবং কে জয়ী আর কে পরাজয়ী সেটা ঠিক করার ক্ষমতা দেখাচ্ছে তারা”।
দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে ২০২০ সালের অগাস্ট মাস থেকে। অ্যাপের অভ্যন্তরীণ লেনদেনের ক্ষেত্রে এপিক গেইমস অ্যাপলের ৩০ শতাংশ ফি পাশ কাটানোর জন্য নিজস্ব ‘ইন-অ্যাপ’ লেনদেন প্রক্রিয়া চালু করার চেষ্টা থেকে ঘটনার সূত্রপাত।
অন্যদিকে, গেইম নির্মাতাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বাধ্যবাধকতা নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মামলা ও নীতিমালাগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে অ্যাপল। এর মধ্যে এপিক গেইমসের অ্যান্টিট্রাস্ট মামলাও আছে।
সুইনির দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে অ্যাপল। তবে ওই প্রসঙ্গে আরও কোনো বক্তব্য দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। আপিল প্রক্রিয়া চলাকালীন মামলার রায় স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ করবে কি না, সেই বিষয়েও কিছু বলেনি অ্যাপল।
“অ্যাপলের কাছ থেকে কোড লুকিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ভুল উপস্থাপনার মাধ্যমে এপিক জেনেশুনে চুক্তি ভেঙেছে।”--এপিক গেইমসকে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছে অ্যাপল।
ডেভেলপাররা অ্যাপের অভ্যন্তরীণ লেনেদেনের ক্ষেত্রে অ্যাপলের ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন কেটে রাখার সমালোচনা করে আসছেন অনেক দিন ধরেই।
চলতি মাসেই কমিশন প্রসঙ্গে ডেভেলপারদের পক্ষে রায় দিয়েছে মার্কিন আদালত। অ্যাপ স্টোর নীতিমালার কয়েকটি ধারা বাতিল করা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। এপিক গেইমসহ অন্যান্য ডেভেলপারদের জন্য রায়টি আংশিক জয় হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।