অ্যানি রাইটের সঙ্গে মাইকেল হেড-এর প্রথম পরিচয় টিন্ডারে। পরে প্রণয়ে জড়ান তারা। প্রথম দেখা হওয়ার দুই সপ্তাহের মাথাতেই সঙ্গীর জন্য ১৭ পাতার চুক্তি তৈরি করেছেন ২১ বছরের অ্যানি। সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাইলে প্রেমিককে এখন সে চুক্তির শর্তাবলী মানতে হবে।
Published : 12 Sep 2021, 07:04 PM
অ্যানির চুক্তিতে চারটি উদ্দেশ্য রয়েছে। সেগুলো যথাক্রমে- সততা; সঙ্গীর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকা; যোগাযোগে স্বচ্ছ্বতা; এবং দুই পক্ষের নিয়তের মিল।
একদম শুরুতে মজাচ্ছলেই গোটা ঘটনার সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন রাইট। আগের সম্পর্কে “মাত্রা অতিক্রম” হওয়া নিয়ে আলোচনার সময় চলে আসে চুক্তির কথা। পরে দুই জনের কাছে এটিকে “ভালো একটি বুদ্ধি” বলে মনে হয়।
“ওর কথা ছিল, আমি আমাদেরকে প্রেমিক ও প্রেমিকা হিসেবে দেখতে চাই। সেটার প্রস্তুতির জন্য আমাদের মৌলিক কিছু নিয়ম থাকা প্রয়োজন।” – বলেন রাইট।
চুক্তিতে নিজের সব প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন রাইট। সেখানে “প্রতি দুই সপ্তাহে একবার রোমান্টিক আচরণ” করতে বলা হয়েছে প্রেমিকের প্রতি। ‘সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট’ বা কথা বন্ধ করে দেওয়া চলবে না, তা-ও লিখে রাখা হয়েছে। অন্যান্য শর্তের মধ্যে প্রেমিক হেডকে “প্রতি সপ্তাহে পাঁচবার শরীরচর্চা” করার কথাও বলা হয়েছে। ডেট নাইটের বিলও যে প্রেমিককেই গুণতে হবে, সেটিরও উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে।
“আমরা আমাদের সম্পর্ককে প্রায় ব্যবসায়িক যোগাযোগের মতো সামলাচ্ছি। আমরা দ্বন্দ্ব সামাল দিচ্ছি ব্যবসায়িক দুনিয়ার অংশীদারদের মতো করে। আমরা বসছি এবং এমনভাবে সামলাচ্ছি যে আমরা জীবনে অংশীদার এবং ভালোবাসা যোগ হওয়া এক বাড়তি বোনাস।”
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন বলছে, অদ্ভুত মনে হলেও এরকম ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে অন্যান্য জুটিও একই ধরনের কাজ করেছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ‘মডার্ন লাভ’ কলামের লেখক ম্যান্ডি লেন কার্টন লিখেছিলেন, তিনি ও তার সঙ্গী চার পাতার নথিতে স্বক্ষর করেছেন। সেখানে অতিথিরা কতক্ষণ থাকতে পারবেন থেকে শুরু করে কোন বিল কে দেবেন, তা লেখা রয়েছে।
“আমাদের চুক্তিতে সে বিষয়গুলো লেখা রয়েছে যার অধিকাংশ নিয়ে যে কোনো সম্পর্কেই আলোচনা হয়ে থাকে।” – লিখেছেন লেন কার্টন।